কঠোর বিধিনিষেধ জারি করেও বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি বাগে আনা গেল না। একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি মানু্ষ। মৃত্যুর সংখ্যাও নেহাতই কম নয়। করোনা সংক্রমণের ফলে একদিনে মারা গিয়েছেন ২৪৭ জন। পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক হওয়ায় বিধিনিষেধ জারির পথেই হাঁটল বাংলাদেশ সরকার।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জারি করা রিপোর্টে জানানো হয়েছে, একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ১৯২ জন। এর আগে এত বেশি সংখ্যক মানুষের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এর আগে বাংলাদেশে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন ১৩ হাজার ৭৬৮ জন। এবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা তাকে ছাড়িয়ে গেল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই নিয়ে বাংলাদেশে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮২৭ জন। এরমধ্যে করোনায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১০ লাখ ৯ হাজার ৯৭৫ জন। শুধু দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যাই বাড়েনি, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। মৃতের সংখ্যার নিরিখেও এদিন ছিল সর্বাধিক। একদিনে ২৪৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর আগে একদিনে বাংলাদেশে ২৩১ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৫২১ জনের। জেলা ভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ঢাকায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। এরপরই চট্টগ্রামে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। অন্যদিকে খুলনাতে মৃত্যু হয়েছে ৪৬ জনের।
গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল বাংলাদেশজুড়ে। কিন্তু ইদের কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধে কিছুটা শিথিলতা আনা হয়। এরপর ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর বিধি নিষেধ চালু করতে হয়েছে বাংলাদেশ জুড়ে। করোনা সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে এই বিধি নিষেধ জারি করেছে শেখ হাসিনা সরকার। পরিস্থিতি যা, তাতে করোনা পরিস্থিতি কবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আসবে, তার কোনও আগাম আভাস দেওয়া যাচ্ছে না। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখন দেশে করোনায় আক্রান্তের হার ২৯.৮২ শতাংশ। একদিনে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর থেকে স্পষ্ট, আগামীদিনে আরও উদ্বেগজনক পরিস্থিতির দিকেই যাচ্ছে বাংলাদেশ।