সদ্য বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির পর তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয় এদেশের বিভিন্ন অংশে। আগরতলায় সদ্য বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের দফতরের সামনে এক বিক্ষোভ আয়োজিত হয় হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির তরফে। বিক্ষোভকারীরা একটা সময় নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে ঢুকে পড়ে চত্বরে। সেই ঘটনার পর এবার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে ভিসা ও কনস্যুলার সার্ভিস আপাতত বন্ধ। জানা গিয়েছে, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের জেরে এই পদক্ষেপ।
ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি মহম্মদ আল আমিন জানিয়েছেন, পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত ভিসা ও কনস্যুলার পরিষেবা আপাতত বন্ধ এই অফিসে। জানা গিয়েছে, আপাতত আগরতলায় বাংলাদেশের এই কূটনৈতিক ভবনে ভিসা ও কনসুলার পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। অফিসের তরফে যে বক্তব্য রাখা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে,' নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশন, আগরতলায় সমস্ত ভিসা এবং কনস্যুলার পরিষেবা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে। এটি অবিলম্বে কার্যকর হচ্ছে। এটি সমস্ত ভিসা এবং কনস্যুলার পরিষেবা প্রার্থীদের অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে।' সদ্য় এই সহকারী হাইকমিশনের অফিসের চত্বরে ‘হিন্দু সংঘর্ষ সমিতির’ সদস্যরা ঢুকে পড়ে। এই বড়সড় নিরাপত্তা লঙঘনের তীব্র নিন্দা করেছে দিল্লিও। দিল্লির বিদেশমন্ত্রক সাফ জানিয়েছে, দেশে অবস্থিত কোনও কূটনৈতিক ভবনে এমন আচরণ অনুচিত।
এদিকে, বাংলাদেশ দাবি করছে যে এই আগরতলার হামলা পূর্ব পরিকল্পিত। ঢাকার তরফে সাফ দাবি করা হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে যেন ভারত পদক্ষেপ করে। এদিকে, এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আগরতলায় অভিযুক্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় পুলিশ কর্মীদের নিয়েও ক্ষোভ জাহির করে বাংলাদেশ। ঢাকার দাবি ছিল, ঘটনার সময় সক্রিয় ছিল না পুলিশ। এদিকে, আগরতলা কাণ্ডে ৩ পুলিশ অফিসারকে আপাতত সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ভারতের দূতকে ডেকে পাঠিয়েছে ঢাকা?
এদিকে, খবর, বাংলাদেশে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার বর্মাকে ঢেকে পাঠায় বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রক। আগরতলা কাণ্ডে নিরাপত্তা নিয়ে বৈঠক হয়েছে বলে খবর।