শনিবারই খবর এসেছিল যে, বাংলাদেশের ইউনুস সরকারের তরফে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেদেশের ৫০ বিচারককে ভারতে ট্রেনিং এর জন্য। আবার রবিবার, ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেই অনুমতি সরিয়ে নেওয়ার খবরও এল। শনিবার জানা গিয়েছিল, ভারতের ভোপালে বাংলাদেশের ৫০ জন বিচারক আসবেন বিশেষ ট্রেনিং-এ। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে সেই বিষয়ে অনুমতি দিয়েছিল ইউনুস সরকার। ঢাকার দেওয়া সেই অনুমতি, রবিবারই আবার তুলে নিল বাংলাদেশে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার।
ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ন্যাশনাল জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমি এবং স্টেট জুডিশিয়াল অ্যাকাডেমিতে প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের ৫০ জন বিচারকের। বাংলাদেশের 'প্রথম আলো'র খবর অনুসারে, বাংলাদেশের অধস্তন আদালতের ৫০ জন বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাকে গত ৩০ ডিসেম্বর এই বিষয়ে অনুমতি দেওয়া হয়। বাংলাদেশের সরকারি সংবাদ সংস্থা ‘বাসস’-র এক রিপোর্টে শনিবার জানা গিয়েছিল যে, বাংলাদেশের আইনমন্ত্রক তাদের দেশের ৫০ জন বিচারককে ভারতে এসে প্রশিক্ষণ গ্রহণের অনুমতি দিয়েছিল। এই ইস্যুতে একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়। বাংলাদেশের আইন মন্ত্রকের উপসচিব (প্রশিক্ষণ) আবুল হাসানাতের স্বাক্ষরও ছিল সেই অনুমতিপত্রের বিজ্ঞপ্তিতে। তবে রবিবার আরও সেই অনুমতির বিজ্ঞপ্তি বাতিল করেছে ঢাকা। অনুমতি বাতিলের কথা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রক, নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়, সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল-সহ অন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগ, সংস্থা সহ মন্ত্রকগুলিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের আই বিঙাগ জানিয়েছে বলে খবর।
বাংলাদেশের বিচার বিভাগের যে ৫০ জনের ভারতে আসার কথা ছিল প্রশিক্ষণের জন্য, সেই তালিকায় সহকারী জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের কর্মকর্তাদের মনোনয় জমা পড়ে। এই প্রশিক্ষণ ভারতেরই খরচে হওয়ার কথা ছিল। আর তা ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রেুয়ারির মধ্যে হওয়ার কথা ছিল। ‘বাসস’-র এক রিপোর্টে জানানো হয় যে, প্রশিক্ষণের খরচ ভারতের ছিল। এতে বাংলাদেশ সরকারের কোনও আর্থিক সংযুক্তি ছিল না।
উল্লেখ্য, সদ্য বাংলাদেশে বছরের মাঝে ছাত্র-গণ অভ্যুত্থানের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তার পর থেকে একাধিক ঘটনা ক্রমে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সখ্যতায় বেশ কিছুটা প্রভাব দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্ট গদিচ্যুত হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এদিকে, ভারতের কাছে বাংলাদেশের আবেদন শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য। এরই মাঝে বাংলাদেশে হিন্দু সন্ন্যাসীর গ্রেফতারির ঘটনা বেশ চাঞ্চল্য ফেলেছে। ঘটনার পর সদ্য ঢাকায় পৌঁছে ছিলেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। এরপর নানান ঘটনা পরম্পরার পর ভারতে প্রশিক্ষণের জন্য আসার কথা ছিল ৫০ জন বাংলাদেশি বিচারকের। তবে তাতে অনুমতি নেই ইউনুস সরকারের।