ঢাকায় অবস্থিত বাংলাদেশ সরকারের সচিবালয়ে গতরাতে ভয়াবহ আগুন লাগে। দীর্ঘ প্রায় ৬ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে, কীভাবে সচিবালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এভাবে আগুন লাগতে পারে। এই আবহে ইউনুসের সরকারের উপদেষ্টা তথা ছাত্রনেতা আসিফ মাহমুদ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'বিগত সময়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রকে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনও জানা যায়নি। আমাদেরকে ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।' (আরও পড়ুন: পেটের জ্বালা বড় জ্বালা! চট্টগ্রাম বন্দরে ভারতীয় জাহাজ, ইউনুসের দেশে গেল…)
আরও পড়ুন: '৭ তারিখ দেখব, নয়ত…', ডিএ মামলায় বড় পদক্ষেপের পথে সরকারি কর্মীরা? 'ভয়টা' কীসের?
আরও পড়ুন: ATM-এর পাশাপাশি ই-ওয়ালেটেও মিলতে পারে PF-এর টাকা? RBI-এর সাথে আলোচনা সরকারের
এদিকে বাংলাদেশ সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। ৫ থেকে ১১ জনের হতে পারে সেই কমিটি। অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, 'রাত ১টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। ১টা ৫৪ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস আসে। আজ সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগে ৬ তলায়। পরে তা ৭ ও ৮ তলায় ছড়ায়। আগুনের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আহত আছেন ২ থেকে তিনজন।' এই ঘটনার সঙ্গে নাশকতার যোগ আছে কি না, তা তদন্তসাপেক্ষ বলে জানান তিনি। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেনি দমকল। (আরও পড়ুন: ভারতের প্রথম ঝুলন্ত রেল ব্রিজে সফল ট্রায়াল রান, কাশ্মীরে কবে থেকে ছুটবে ট্রেন?)
আরও পড়ুন: আফগান মাটিতে বোমা বর্ষণ পাকিস্তানের, মৃত ৪৬, অধিকাংশই মহিলা-শিশু: তালিবান
আরও পড়ুন: 'বন্ধু সেজে বাংলাদেশে ডাকাতি','আজব যুক্তিতে' মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ভারতকে তোপ জামাতের
উল্লেখ্য, ঢাকার সেগুনবাগিচার সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগেছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দকলের ১৯টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিল। দমকল ছাড়াও সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছিল সেখানে। জানা গিয়েছে, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রক, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রক সহ আরও বিভিন্ন মন্ত্রক। অর্থাৎ, আসিফ মাহমুদ, নাহিদ ইসলামদের মন্ত্রকের অফিস এই ভবনেই। এই আবহে গুরুত্বপূর্ণ সব নথি সহ অনেক কিছুই পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।