ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের জন্য গতকাল ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠনের ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে পরে গতকাল রাতে সেই তদন্ত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠন করেছে সরকার। নয়া কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডিজি-কে করা হয়েছে কমিটির সদস্য সচিব। এছাড়াও এই কমিটিতে আছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। এছাড়াও আছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন অধ্যাপক। (আরও পড়ুন: তিনি আজ নেই, তবে চিরকাল থেকে যাবে তাঁর ছায়া, তিনি - ডঃ মনমোহন সিং)
আরও পড়ুন: মনমোহন সিং: রাজনীতির কাছে পরাজিত এক রাজনীতিবিদ
এর আগে গতকাল এই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী বলেছিলেন, 'মঙ্গলবার রাত ১টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগে। ১টা ৫৪ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস আসে। আজ সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুন লাগে ৬ তলায়। পরে তা ৭ ও ৮ তলায় ছড়ায়। আগুনের ঘটনায় একজন মারা গেছেন। আহত আছেন ২ থেকে তিনজন।' এই ঘটনার সঙ্গে নাশকতার যোগ আছে কি না, তা তদন্তসাপেক্ষ বলে জানান তিনি। এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পরও অগ্নিকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারেনি দমকল। (আরও পড়ুন: 'LAC-র পরিস্থিতি স্থিতিশীল', দাবি ভারতের, ক'দিন আগেই পেন্টাগন কী বলেছিল?)
আরও পড়ুন: 'সীমান্তের কিছু জায়গায় সমস্যা...', BSF-BGB শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে জল্পনা
তবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অগ্নিকাণ্ডে নাশকতার সম্ভাবনা নিয়ে কিছু না বললেও ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই। জাতীয় নাগরিক কমিটির সারজিস আলম অভিযোগ করেন, এই অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। এদিকে ইউনুসের সরকারের উপদেষ্টা তথা ছাত্রনেতা আসিফ মাহমুদ এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লেখেন, 'বিগত সময়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রকে যে দুর্নীতি হয়েছে, তা নিয়ে আমরা কাজ করছিলাম। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। আগুনে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখনও জানা যায়নি। আমাদেরকে ব্যর্থ করার এই ষড়যন্ত্রে যে বা যারাই জড়িত থাকবে তাদের বিন্দু পরিমাণ ছাড় দেওয়া হবে না।'
উল্লেখ্য, ঢাকার সেগুনবাগিচার সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লেগেছিল। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দকলের ১৯টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছিল। দমকল ছাড়াও সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছিল সেখানে। জানা গিয়েছে, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রক, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রক সহ আরও বিভিন্ন মন্ত্রক। অর্থাৎ, আসিফ মাহমুদ, নাহিদ ইসলামদের মন্ত্রকের অফিস এই ভবনেই। এই আবহে পাঁচ মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ সব নথি সহ অনেক কিছুই পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।