বাংলাদেশের সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে অনেকেই 'ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব' খাড়া করতে চেয়েছিলেন। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গঠিত তদন্ত কমিটি সম্প্রতি সেই অগ্নিকাণ্ড নিয়ে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, বৈদ্যুতিক তারে 'লুজ কানেকশনের' জেরেই এই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনটির ছয় তলার মাঝামাঝি সিঁড়ির কাছে এই অগ্নিকাণ্ড শুরু হয়েছিল। সচিবালয়ের ভিতরে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে রাত ১টা ৩৬ মিনিটে একটি বৈদ্যুতিক স্পার্ক দেখা গিয়েছিল। তা থেকেই ধীরে ধীরে আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। (আরও পড়ুন: এই মাসেই ফাঁসি, 'কথা বলার' আস্বাস, নিমিশার স্বামী বললেন- 'লাস্ট মিনিট পার্ডন...')
আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনা মার্কিন মুলুকে, ক্যালিফোর্নিয়ায় বিল্ডিংয়ে ভেঙে পড়ল বিমান: ভিডিয়ো
আরও পড়ুন: এখনও নেই কোনও নির্দিষ্ট ভ্যাকসিন, এই হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস কী? এর উপসর্গ কী?
এদিকে সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনের যে ফ্লোরে আগুন লেগেছিল, সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছিল একটি কুকুরের মৃতদেহ। সেই কুকুর সেখানে কীভাবে গিয়েছে, তা নিয়ে অবশ্য স্পষ্ট কোনও ধারণা দেওয়া হয়নি তদন্ত রিপোর্টে। বাংলাদেশের সংবাদপত্র 'কালের কণ্ঠ'-এর প্রতিবেদনে এই নিয়ে লেখা হয়েছে, তদন্ত কমিটির সদস্যরা ভিডিয়ো ফুটেজ খতিয়ে দেখে মৃত কুকুরের বিষয়টি নিয়ে খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ছয় তলার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে, কুকুরটি হেঁটে এসে একটি চেয়ারে ঘুমিয়ে পড়ছে। এবং অগ্নিকাণ্ডের এক পর্যায়ে সেটি জেগে ওঠে। এরপরে আর বের হতে পারেনি। তবে সেই কুকুরটি ছয় তলায় কীভাবে গিয়েছিল, তা এখনও জানা যায়নি। এই আবহে এখনও দুর্ঘটনার বিষয়টা নিয়ে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না। (আরও পড়ুন: চিন্ময় প্রভুকে কি রীতিমতো 'ভয়' পাচ্ছে ইউনুস সরকার? তাদের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে...)
আরও পড়ুন: রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকল মায়ানমার সেনা সদস্যরা!
আরও পড়ুন: গোয়েন্দা রিপোর্টের কারণে হিন্দুদের BCS থেকে বাদ? এবার নয়া দাবি বাংলাদেশ সরকারের
উল্লেখ্য, গত ২৬ ডিসেম্বর ভোররাতে আগুন লেগেছিল বাংলাদেশের সচিবালয়ে। ১টা ৫৪ মিনিটে ফায়ার সার্ভিস আসে। সকাল ৮টা ৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। প্রথমে আগুন লাগে ৬ তলায়। পরে তা ৭ ও ৮ তলায় ছড়ায়। সেই রাতে আগুন নেভাতে যাওয়া এক দমকলকর্মীর মৃত্যু হয় পথ দুর্ঘটনায়। এদিকে অগ্নিকাণ্ডে আহত হন ২ জন। এই ঘটনার সঙ্গে নাশকতার যোগ আছে কি না, তা তদন্তসাপেক্ষ বলে জানিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মহম্মদ জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। ইউনুসের সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ অভিযোগ করেছিলেন, এটা ষড়যন্ত্র। একই সুর শোনা গিয়েছিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা সারজিস আলম, হাসনাতদের গলায়। তবে দেখা গেল, এটা সত্যিই দুর্ঘটনা ছিল। তবে সেই অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে। যার জেরে বহু মন্ত্রকের গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে।