বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় সচিবালয়ের একটি ভবনে আগুন। জানা গিয়েছে, ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকায় অবস্থিত সচিবালয়ে গতকাল গভীর রাতে আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দকলের ১৯টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত আছে বলে জানা গিয়েছে প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী। রিপোর্টে বলা হয়েছে, দমকল বাহিনী অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় স্থানীয় সময় রাত ১টা ৫২ মিনিটে। মাত্র ২ মিনিটেই সেখানে এসে উপস্থিত হন দমকল কর্মীরা। প্রাথমিক ভাবে আটটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। ক্রমেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে সচিবাল ভবনের অন্যত্র। পরে আরও ১০টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় দমকলের তরফ থেকে। এরপর আরও একটি ইঞ্জিন সেখানে গিয়ে পড়ে। বাংলাদেশি সময় ভোর ৬টা নাগাদ আগুন নেভানো সম্ভব হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। এই আবহে দমকল ছাড়াও সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোতায়েন করা হয়েছে সেখানে।
জানা গিয়েছে, সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে এই আগুনটি লেগেছে। কালের কণ্ঠের রিপোর্ট অনুযায়ী, সচিবালয়ের সাত নম্বর ভবনে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক, স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রক, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রক, অর্থ মন্ত্রক, সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রক সহ আরও বিভিন্ন মন্ত্রক। অর্থাৎ, আসিফ মাহমুদ, নাহিদ ইসলামদের মন্ত্রকের অফিস এই ভবনেই। এই আবহে গুরুত্বপূর্ণ সব নথি সহ অনেক কিছুই পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও আগুন লাগার কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া আগুন লাগার আসল কারণও জানা যায়নি এখনও।
এদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টার সময় এক দমকলকর্মীকে চাপা দেয় ট্রাক। এর জেরে সেই দমকলকর্মীর মৃত্যু হয়। এই দুর্ঘটনাটি বাংলাদেশের স্থানীয় সময় সাড়ে ৩টে নাগাদ ঘটেছিল। এদিকে দমকলকর্মীকে ধাক্কা মেরে সেই ট্রাকটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তবে সেখানে স্থানীয়রাই নাকি ট্রাকটি থামিয়ে এর চালককে আটকান। জানা গিয়েছে, রাস্তায় ব্যারিকেড বসিয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী সেই ট্রাকটিকে আটকে দেয় রাস্তায়। পরে সেই ট্রাকচালককে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, পাইপ হাতে সচিবালয়ের সামনের রাস্তা পার করছিলেন সেই দমকলকর্মী। সেই সময়ই ট্রাকটি এসে তাঁকে ধাক্কা মেরেছিল। আহত দমকলকর্মীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই পরে তাঁর মৃত্যু হয়।