বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৭। নিহতদের মধ্যে অন্তত ৭ জন দমকল কর্মী রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের কন্টেনার ডিপোয় আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফেরণ ঘটে। এখনো আগুনের সঙ্গে লড়াই করছেন ফায়ার ব্রিগেড কর্মীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত ৯টা নাগাদ কনটেনার ডিপোতে আগুন লাগে। একটি কনটেনার থেকে আগুনের সূত্রপাত। খবর পেয়ে দমকলের ইঞ্জিন এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। রাত ১১টা নাগাদ আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে। এর পর ঘটে ভয়াবহ এক বিষ্ফোরণ। তার পরই বেলাগাম হয়ে যায় আগুন। এর পর একের পর এক ছোট বড় বিস্ফোরণ হতে থাকে। সারা রাত আগুনের সঙ্গে লড়াই করেন আগুনকে কাবু করতে পারেননি দমকল কর্মীরা। সকালে এলাকায় জলাভাব দেখা যায়। যার জেরে বাধা পায় আগুন নেভানোর কাজ।
বাংলাদেশের এক বরিষ্ঠ দমকল আধিকারিক সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেদেশের সেনাবাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে কনটেনারের মালিকদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে কন্টেনারের ভিতরে কী ধরণের রাসায়নিক রয়েছে তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। অনুমানের ভিত্তিতে কাজ করতে হচ্ছে দমকলকে। অসমর্থিত সূত্রের খবর, কন্টেনারগুলির ভিতরে রয়েছে হাইড্রোজেন পারক্সাইড। যা তাপ পেলে দ্রুত অক্সিজেন নির্গমণ করে।
এখনো পর্যন্ত এই অগ্নিকাণ্ডে ৩৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ও ঢাকায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াজেদ। আহতদের দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করেছেন তিনি।