চিনের বিদেশমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে চলছে বিতর্ক। ওয়াং ইয়ের এই সফর নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। অগাস্টের শুরুতেই বাংলাদেশ সফরের কথা ঘোষণা করেছিল চিন। তারা জানিয়েছিল এই মাস পড়তেই বাংলাদেশ সফরে যাবেন ওয়াং ই। আর তারপরেই শুরু হয় বিতর্ক।
জানা গিয়েছে বাংলাদেশের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই চিনের তরফে ওয়াং ইয়ের বাংলাদেশ সফরের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। আর এতে শেখ হাসিনার সরকার ঘোরতর আপত্তি জানায়। বাংলাদেশের তরফে আপত্তি আসার পর চিনের বিদেশমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরে দিন পাল্টানো হয়। গোটা ঘটনায় চিনকে বিশ্বের সামনে দারুন অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে।
আগে যতই চিনের তরফে অগাস্টের শুরুতেই বাংলাদেশ সফরের কথা জানানো হয়ে থাক পরে তা বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনার পর আগামী ৭-৮ তারিখ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ ওঠে চিনের বিদেশমন্ত্রী এক তরফা ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ওয়াং ইয়ের বাংলাদেশ সফরের কথা ঘোষণা করেছিল। তবে তখন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর পূর্বনির্ধারিত সফর ছিল, তাই সেই জন্য বাংলাদেশের তরফে চিনকে তারিখ বদল করতে বলা হয়। বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছেন তাঁর আগে থেকেই নিউইয়র্ক এবং কম্বোডিয়ার সফর নির্ধারিত ছিল। তাই চিন এক তরফা ভাবে দিন ঘোষণা করায় তা সমস্যার সৃষ্টি করে। এর পরেই বাংলাদেশ চিনকে বলে দিন বদলের কথা।
এই বিষয়ে উল্লেখযোগ্য ওয়াং ই বেশ কয়েকটি এশিয়ান দেশের সফরের অঙ্গ হিসেবেই বাংলাদেশে যাবেন। এছাড়াও তিনি কম্বোডিয়া এবং মঙ্গোলিয়া যাবেন। বিগত বেশ কয়েক বছরে এই দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভালো হয়েছে। বেড়েছে ব্যবসা বাণিজ্য। বাংলাদেশে চিনের বিনিয়োগের পরিমাণ বেড়েছে। ওয়াং ইয়ের এই বাংলাদেশ সফরে হয়তো অনেক অমীমাংসিত বিষয় আলোচনা করা হবে।