ইসকনের প্রাক্তন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারির প্রতিবাদে নতুন করে অস্থির হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। দিকে দিকে অব্যাহত বিক্ষোভ আন্দোলন। ভারতও এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। সেই আবহে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র কটাক্ষ করলেন বাংলাদেশের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তিনি মন্তব্য করেছেন,শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অধীনে চাকরি করতেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ভারতের বিদেশ সচিবের পা রাখার আগে ইউনুসের উপদেষ্টা তৌহিদের বড় বার্তা
রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসলামি ছাত্রশিবিরের তরফে জুলাই-অগস্ট গণ আন্দোলনে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সেখানে এই মন্তব্য করেন আব্দুল্লাহ। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। তবে সেদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার এবং হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকেই দুদেশের সম্পর্ক কিছুটা শিথিল হয়েছে। শেখ হাসিনার আমলের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, গণ অভ্যুত্থানের জেরে শেখ হাসিনার চাকরি চলে যাওয়ায় নরেন্দ্র মোদীর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। ভারত বাংলাদেশের শত্রু না মিত্র সেটা বোঝার উপায় হল ভারত কোন পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তিনি আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত স্বৈরাচার শক্তিকে তার দেশে পুনর্বাসন করেছে। ভারত হাসিনা এবং গণহত্যাকারীদের পক্ষে। তাতে স্পষ্টভাবে ভারতের অবস্থান বোঝা যাচ্ছে।
এ নিয়ে সম্প্রদায়িকতার প্রসঙ্গ তুলে মোদীকে আক্রমণ করেন আব্দুল্লাহ। তিনি বলেন, মোদীর হাতে সাম্প্রদায়িকতার রক্ত লেগে রয়েছে। অথচ তাঁর মিডিয়া বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে মিথ্যা ছড়াচ্ছে। এখন গোটা বিশ্বে মোদীর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় গোটা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। তবে আবদুল্লাহ দাবি করেছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন হয়নি, সংখ্যালঘুদের প্রতি উদার মনোভাব রয়েছে বাংলাদেশ সরকারের। তিনি বলেন, ৫ অগস্টের পর দেশে সম্প্রীতির বন্ধন তৈরি হয়েছে।সংখ্যালঘুদের প্রতি বাংলাদেশের যে উদার মনোভাব রয়েছে তাতে প্রমাণিত হচ্ছে বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক ও সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমের কাছে এবিষয়গুলি আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরার জন্য অনুরোধ করেন আবদুল্লাহ।