‘জয় বাংলা’ কি আর বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান থাকবে না? সেই বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে থাকল। হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, সেটার উপরে স্থগিতাদেশ দেওয়া দিয়েছে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির বেঞ্চ। সরকারের তরফে আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়েছিল। যে আবেদন মঞ্জুর করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আর তার ফলে বিষয়টি ঝুলে থাকল। আপাতত সরকারিভাবে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ‘জয় বাংলা’-কে বাতিল করা হয়নি। তবে যেভাবে সবকিছু এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে সেই স্লোগান বাতিল হয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
‘জয় বাংলা’-কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করেছিলেন হাসিনারা
এমনিতে ২০২০ সালের ১০ মার্চে 'জয় বাংলা'-কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান করার ছাড়পত্র দিয়েছিল হাইকোর্ট। বছরতিনেক আগে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী মামলা করেছিলেন। সেটার প্রেক্ষিতেই ওই রায় দিয়েছিল হাইকোর্টের বিচারপতি এফআএম নাজমুল এহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ।
তারপর সেই বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ করেছিল বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার। ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারিতে 'জয় বাংলা'-কে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছিল 'জাতির পিতা' বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেয়ে হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা। আর ৪ মার্চ সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল।
মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি ‘জয় বাংলা’
আর সেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বাংলাদেশের স্বাধীনতার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মন্ত্রধ্বনি ছিল ‘জয় বাংলা’। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ বাংলাদেশের সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে যে ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন 'জাতির পিতা' মুজিবুর রহমান, তা থেকেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান হয়ে উঠেছিল মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি। সেই ঐতিহাসিক সভার আগেই বিভিন্ন প্রান্তে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উঠেছিল। কিন্তু ৭ মার্চের পর থেকে বাংলাদেশিদের সত্ত্বার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে ওঠে সেই স্লোগান।
মুজিবর রহমানের স্মৃতি মুছে ফেলতে চাইছেন ইউনুসরা?
অথচ বাংলাদেশর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই ‘জয় বাংলা’ স্লোগানকেই ছেঁটে ফেলতে চাইছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামি লিগের নেতারা। তাঁদের দাবি, বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানের যাবতীয় চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করছে বাংলাদেশর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যে সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হলেন মহম্মদ ইউনুস।