কনের বয়স মাত্র ১০। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। তার সঙ্গে নিজের কিশোর ছেলের বিয়ে দিলেন এক স্কুল শিক্ষিকা। ছেলে আবার দশম শ্রেণির পড়ুয়া। এমনই ঘটনা ঘটল বাংলাদেশের চুয়াডাঙা সদর উপ-জেলায়। যদিও শিক্ষিকার সাফাই, অসুস্থ মায়ের ইচ্ছাপূরণের জন্য ধর্মীয় মতে কিশোর ছেলের বিয়ে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের শীর্ষ সংবাদমাধ্যম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত সপ্তাহের রবিবার (২০ মার্চ) কিশোর ছেলের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণির এক মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন বেগমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। ছেলের বয়স যেখানে ১৬, সেখানে কনের বয়স ১০। প্রাথমিকভাবে বিষয়টি গোপন করা হয়েছিল। কিন্তু ছোটশলুয়া গ্রামের বিলপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে কিশোর আসার পরই বিষয়টি জানাজানি হয়। সেই গ্রামেই দিনমজুরি করে সংসার চালান মেয়ের বাবা।
তারইমধ্যে বাল্যবিবাহের অভিযোগ পেয়ে আসরে নামেন চুয়াডাঙা সদর উপ-জেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামিম ভুঁইয়া। তিনি জানান, প্রাথমিকভাবে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে। বাল্যবিবাহের বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছেন শিক্ষিকা। তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙা সদর উপ-জেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। সঙ্গে রীতিমতো হতাশার সুরে জানিয়েছেন, যেখানে শিক্ষিকা হিসেবে বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া উচিত, সেখানে নিজেই দাঁড়িয়ে থেকে ১৬ বছরের ছেলে এবং ১০ বছরের মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। তদন্তের পর তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। এই ধরনের অপরাধ করে রেহাই পাওয়া যাবে না।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ওই শিক্ষিকা জানিয়েছেন, তাঁর মা অত্যন্ত অসুস্থ। মা নাতবউয়ের মুখ দেখে যেতে চান। সেই ইচ্ছাপূরণের জন্যই কিশোর ছেলের বিয়ে দিয়েছেন। ধর্মীয় রীতি মেনে সেই বিয়ে হয়েছে। রেজিস্ট্রি হয়নি।