নড়াইলে এক শিক্ষককে জুতোর মালা পরানোর ঘটনায় বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিল বাংলাদেশের হাইকোর্ট। নড়াইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে পুরো ঘটনার তদন্ত করে ছয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তী ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের বেঞ্চ।
কী হয়েছিল ঘটনাটি?
পয়গম্বরকে নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন মুখপাত্র নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের রেশ বাংলাদেশেও পড়েছে। গত জুনে নূপুরের সমর্থনে ফেসবুকে পোস্ট করেছিল নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের এক ছাত্র। তা নিয়ে কলেজে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। সেই উত্তপ্ত আবহের মধ্যেই রটে যায়, ওই ছাত্রকে সমর্থন করছেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপনকুমার বিশ্বাস। অভিযোগ, পুলিশের সামনেই নড়াইলের ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে জুতোর মালা পরানো হয়। সেই ঘটনার ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: পুরুষশূন্য দিঘলিয়া, বাংলাদেশের নড়াইলে হিন্দুদের ওপর হামলায় ৩ দিনে গ্রেফতার ৫
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ হাইকোর্টে রিট দাখিল হয়। মঙ্গলবার সেই রিটের শুনানিতেই পুরো ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্টের বেঞ্চ। ছয় সপ্তাহের মধ্যে নড়াইলের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেইসঙ্গে প্রশাসনের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে 'জনতার বিচার'-কে কেন আইনবিরোধী ঘোষণা করা হবে না, তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের একাধিক কর্তার থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক আইনজীবী জানিয়েছেন, নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর ইউনাইটেড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে উপযুক্ত সুরক্ষা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সেইসঙ্গে তাঁর চিকিৎসার জন্য সবরকমের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ অক্টোবর ফের সেই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।