আইনশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তারা কার্যত ব্যর্থ। হাসিনা বিরোধীদের উস্কানিতে তাই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ঢাকার ধানমন্ডিতে অবস্থিত ৩২ নম্বর বাড়িটি। এখানেই থাকতেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথপ্রদর্শক শেখ মুজিবুর রহমান। এই বাড়িতেই হত্যা করা হয়েছিল তাঁকে। আর সেই বাড়ি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিল ভারত। তবে সেই বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকারের 'বদহজম' হয়েছে। এই আবহে ভারতের মন্তব্যকে 'অপ্রত্যাশিত এবং অপ্রয়োজনীয়' আখ্যা দিলেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রফিকুল আলম। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্টে গ্রেফতার ১৩০৮, চলছে ‘ন্যারেটিভ’ বদলের চেষ্টা?)
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডে কি এবার সিবিআই-এর উলটো সুর শুভেন্দুর গলায়? বিরোধী দলনেতা বললেন…
বঙ্গবন্ধুর বাসভবন ধ্বংসের ঘটনায় উলটে ভারতকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর চেষ্টা করে রফিকুল আবার বলেন, 'আমরা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলি না। আমরা আশা করি, অন্য দেশও তেমনটা করবে না। আর যেমনকি সবাই জানে, ভারতে থাকাকালীন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় নানান রাজনৈতিক মন্তব্য করে চলেছেন। বাংলাদেশের মানুষ এটা ভালো চোখে দেখছে না।' (আরও পড়ুন: মোদীর সফরারের আগে ফের শুল্ক নিয়ে বড় ঘোষণা ট্রাম্পের, সঙ্গে তৈরি ‘সাসপেন্স’)
আরও পড়ুন: ২.৮৬ নয়, ২ হলেই হয়... গ্রেড ধরে ধরে জানুন কত বাড়তে পারে সরকারি কর্মীদের বেতন
এর আগে ধানমন্ডি কাণ্ড প্রসঙ্গে দিল্লি বলেছিল, প্রতিবেশী দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে যারা মূল্য দেয়, তাদের জন্য এই ভবনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাড়ি ভাঙার ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, 'এই ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা করা উচিত। যারা বাঙালির আত্মপরিচয় ও গর্বকে লালন করে স্বাধীনতা সংগ্রামকে মূল্য দেন তারা বাংলাদেশের জাতীয় চেতনায় এই বাসস্থানের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতন।' ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটিকে 'দখলদারিত্ব ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধের প্রতীক' হিসেবে আখ্যা দেন তিনি। (আরও পড়ুন: এই ধরনের জমি বিক্রিতে পাওয়া যায় কর ছাড়, তবে রয়েছে কিছু 'শর্ত', জানুন বিশদ)
আরও পড়ুন: SBI, PNB এবং অন্যান্য সরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে এখন কত সুদ মিলছে FD-তে, রইল তালিকা
এর আগে মুজিবের বাড়ি ভাঙার ঘটনা নিয়ে একটি পোস্ট করা হয়েছিল প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ থেকে। তাতে দাবি করা হয়েছে, হাসিনা যে বারবার 'মিথ্যা ও মনগড়া' মন্তব্য করেছেন, তাতে বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের ভাবাবেগে আঘাত করছে। ইউনুসের সরকারের বক্তব্য, গত বছরের অগস্টে হাসিনার পতনের পর থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়িতে কোনওরকম বিপত্তি ঘটেনি। চালানো হয়নি হামলা। কিন্তু ৫ ফেব্রয়ারি হাসিনা যে ‘হিংসাত্মক আচরণ’ করেছেন, তারই প্রতিক্রিয়া হিসেবে মুজিবর রহমানের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এই আবহে শেখ হাসিনাকে চুপ করানোর জন্যে ভারতকে বলেছিল ঢাকা। ভারত অবশ্য বলেছে, শেখ হাসিনার মন্তব্যের সঙ্গে ভারত সরকারের কোনও যোগ নেই। তবে কার্যত নিজেদের 'ব্যর্থতা' ঢাকতেই যেন বারংবার দিল্লির দিকে আঙুল তুলছে ঢাকা।