বাংলাদেশে এখন যা পরিস্থিতি তাতে শুধুই অশান্তির আগুন জ্বলছে। তদারকি সরকার সেই অশান্তি কমাতে পারছে না। অথচ এই তদারকি সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের নোবেল পুরষ্কার রয়েছে শান্তির দূত হিসাবে। এই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতিতে এবার বন্ধ হয়ে গেল ট্যুরিস্ট ভিসা। যার প্রভাব সরাসরি পড়েছে বাণিজ্যে। উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার অন্তর্গত ভারত–বাংলাদেশের ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে বন্ধের মুখে আমদানি রফতানি। তাতে বেশি ক্ষতি বাংলাদেশেরই। কারণ সেখানেই হিন্দুদের উপর চলছে নির্মম অত্যাচার বলে অভিযোগ। আর এপার বাংলা শান্ত। এখন দু’তিন মাস আগে যাদের ভিসা করা হয়েছে সেইসব পর্যটকরা যাতায়াত করছেন। তাও খুব কম সংখ্যায়।
এই আবহে বাংলাদেশে এখন সীমান্ত বাণিজ্যের উপর প্রভাব পড়েছে ব্যাপকভাবে। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আগে প্রত্যেকদিন ৪০০ পণ্যবাহী ট্রাক যেত। এখন সংখ্যা একশোরও কম। তাই প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে। আগে বাংলাদেশের ১০০ টাকা প্রতি বাটা ছিল ৭২–৭৫ টাকা। এখন সেটা নেমেছে ৬৯ টাকায়। সুতরাং আগামীদিনে আরও বড় সমস্যার মুখে পড়তে পারে পদ্মাপারের দেশ। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর নানা অত্যাচারের ঘটনা সামনে আসছে। হিন্দু নির্যাতন বন্ধ করতে কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ দাবি করল আরএসএস। আন্তর্জাতিক মঞ্চে জনমত গড়ে তোলার জন্য কেন্দ্রের কাছে দাবি তুলেছে তারা। সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এখন বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: শেওড়াফুলি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে খাতা খুলতে পারল না বিজেপি, বিপুল জয় তৃণমূলের
আজ, রবিবার বাংলাদেশে হিন্দু–সহ অন্য ধর্মাবলম্বীদের মঙ্গল কামনায় সংগঠনের সমস্ত মন্দিরে কীর্তনের আয়োজন করেছে ইসকন। মহম্মদ ইউনুসের প্রেস সচিব শফিকুল ইসলাম দাবি করেন, বাংলাদেশে হিন্দুরা এখন নিরাপদ। একটি স্তর থেকে নানা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তবে এখন কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি–রফতানি সহ সব বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এটা যদি চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশকে বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
শুধু পণ্য আমদানি–রফতানি নয়, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতির জেরে চিকিৎসা বা অন্য প্রয়োজনে ওপার বাংলা থেকে আসা মানুষজনের মধ্যেও উদ্বেগ বেড়েছে। দেশে ফেরার জন্য তাঁরা পেট্রাপোল এবং ঘোজাডাঙা সীমান্তে ভিড় করছেন। আবার বাংলাদেশ যাঁরা গিয়েছিলেন,ভারতীয় নাগরিকরাও দেশে ফেরার জন্য অস্থির হয়ে পড়েছেন। গজরা গাছ সীমান্তের আমদানি রফতানি সংস্থার সম্পাদক সঞ্জীব মণ্ডল বলেন, ‘আমরা যেসব পণ্যবাহী জিনিসপত্র রফতানি করছি সেগুলির পেমেন্ট অনেক দেরিতে আসছে। ডলার দিনের পর দিন বেড়ে যাচ্ছে। যার কারণে আগের থেকে সীমান্ত বাণিজ্যে অনেকটাই প্রভাব পড়েছে।’