বাংলদেশে গত অগস্ট মাস থেকে খুন হয়েছে ১ হাজার ৫৬৫ জন। অর্থাৎ, ইউনুস জমানায় প্রতি মাসে গড়ে ৩১৩ জন করে খুন হয়েছে বাংলাদেশে। চলতি জানুয়ারি মাসের ২৫ দিনে দেশে প্রতিদিন একাধিক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমেরই রিপোর্টে। রাজনৈতিক সহিংসতা, ধর্মীয় ভেদাভেদ, চাঁদাবাজি, ডাকাতির মতো ঘটনায় এই সব খুন হচ্ছে। এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে যে ইউনুসের সরকার সফল হতে পারেনি, তা এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে খুন হওয়া হিন্দু ছাত্রের শেষকৃত্য সম্পন্ন, পরীক্ষা দিতে না গিয়ে দাদার মুখাগ্নি ভাইয়ের)
আরও পড়ুন: পদ্মবিভূষণ পাচ্ছেন 'তিন তালাক' বাতিল করা প্রাক্তন CJI জাস্টিস জগদীশ সিং কেহার
আরও পড়ুন: 'নীতি পক্ষাঘাত' দূর হতে পারে 'এক দেশ, এক নির্বাচনে', বললেন রাষ্ট্রপতি
এর আগে ২০২৪ সালে জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে খুন হয়েছিল ১ হাজার ৮৬৭ জন। অর্থাৎ, প্রতি মাসে গড়ে ২৬৬ জন খুন হয়েছিল সেখানে। এর মধ্যে আবার জুলাই বিপ্লবও সামিল আছে। এই আবহে দেখা যাচ্ছে, হাসিনা জমানার থেকে ইউনুসের আমলে খুনের হার বেড়েছে। ইউনুস জমানায় পুলিশি তথ্য বলছে, গত সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার মাসে দেশে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৭৯৬টি। ২০২৩ সালে এই একই সময়কালে এই সংখ্যাটা ছিল ৪৯৪টি। এদিকে ২০২৪ সালের শেষ চার মাসে বাংলাদেশ জুড়ে অপহরণের মামলা হয় ৩০২টি। ২০২৩ সালে এই একই সময়কালে এই সংখ্যাটা ছিল ১৬০। (আরও পড়ুন: 'ভারতের দিকে তাকিয়ে…', প্রাক্তন আওয়ামি MP-মন্ত্রীদের গ্রুপে তলে তলে ছক কষা হচ্ছে)
আরও পড়ুন: '৩ জনের নাম যাতে সামনে না আসে…', আরজি কর মামলায় বিস্ফোরক সঞ্জয় রায়ের নয়া আইনজীবী
এদিকে বিগত দিনে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা জুড়ে হিন্দু সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। যদিও ইউনুস সরকার এই হামলাগুলি নিয়ে দাবি করেছে, সেগুলি নাকি ধর্মীয় কারণে ঘটেনি। তবে সরকারি মতে যেই কারণেই এই সব হামলা হয়ে থাকুক না কেন, সেই দেশের প্রশাসন যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ব্যর্থ, তা বারবার সামনে চলে আসছ। এরই মাঝে সম্প্রতি খুলনায় খুন হয়েছেন এক হিন্দু এমবিএ পড়ুয়া। এখনও পর্যন্ত সেই পড়ুয়ার খুনীদের ধরতে পারেনি পুলিশ। (আরও পড়ুন: এবার দূর হবে দুশ্চিন্তা, সরকারি কর্মীদের জন্যে চুপিসারে জারি হল নয়া বিজ্ঞপ্তি)
আরও পড়ুন: 'আওয়ামি লিগ যদি দিল্লির কোলে বসে…', নির্বাচনে হাসিনার দলে 'না' ইউনুসের উপদেষ্টার
জানা গিয়েছে, ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ন'টা নাগাদ খুলনা শহরের তেঁতুলতলা মোড়ে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন অর্ণব। দোকানের সামনেই নিজের বাইকে হেলান দিয়ে ছিলেন তিনি। সেই সময় আচমকা কয়েকটি মোটোরসাইকেল সেখানে এসে পৌঁছায়। কিছু বোঝে ওঠার আগেই বাইকে থাকা দুষ্কৃতীরা মলা চালায় অর্ণবের ওপরে। অর্ণবকে লক্ষ্য করে বাইক আরোহী দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। সেই গুলি অর্ণবের মাথা ভেদ করে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন অর্ণব। এদিকে ঘটনা ঘটিয়ে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এবং বাইক আরোহীদের কাছে বন্দুক থাকায় তাদের কেউ আটকানোর সাহস করতে পারেনি। তবে দুষ্কৃতীরা পালাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন স্থানীয়রা। অর্ণবকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা বেসরকারি সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা সেই পড়ুয়াকে মৃত বলে ঘোষণা করে। পুলিশ তদন্ত তো চালাচ্ছে। তবে খুনের কারণ বা দোষীদের চিহ্নিত করতে এখনও ব্যর্থ তারা।