ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে হুলস্থুল কাণ্ড। হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের। তাঁদেরই অন্যতম ফারুক হাসান। তিনি বর্তমানে গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট। এহেন ফারুককে চেয়ার ছুড়ে মারধরের অভিযোগ উঠল এবার। শনিবার এই ঘটনা ঘটেছে। এই আবহে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর দাবি করেছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের ধরতে হবে। তাঁর আরও হুঁশিয়ারি, প্রশাসন দোষীদের না ধরতে পারলে গণ অধিকার পরিষদই 'ব্যবস্থা নেবে'। ফারুক হাসান নিজে অভিযোগ করেছেন, ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে। (আরও পড়ুন: অনৈতিক ভাবে কাটা হচ্ছিল বেতন, বাংলাদেশে হিন্দু মহিলার প্রাণ কাড়ল 'কাজের চাপ')
আরও পড়ুন: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবি মানবে না ইউনুস সরকার? বাংলাদেশে এবার হবে কী?
এদিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটা অংশের দাবি, ফারুক হাসানের ওপর কোনও হামলা হয়নি। বরং সমাবেশ স্থলে 'হাতাহাতি' হয়েছিল। দাবি করা হচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার ও রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন ফারুক হাসান। এই আবহে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্যে অনুরোধ জানিয়েছিলেন হাসিনা বিরোধী আন্দোলনে আহত এক ব্যক্তি। এই অবস্থায় দুই পক্ষের হাতাহাতি শুরু হয় সেখানে। তবে সেই ঘটনা নিয়ে কেউ কেউ 'অপপ্রচার' চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেই অংশের পক্ষ থেকে। (আরও পড়ুন: ভোররাতে ধস্তাধস্তি, প্রশান্ত কিশোরকে তুলে নিয়ে গেল পুলিশ, দেখুন ভিডিয়ো)
প্রসঙ্গত, শনিবার ‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ’ ব্যানারে একটি সমাবেশে আমন্ত্রিত ছিলেন ফারুক হাসান। সমাবেশটি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই এই ঘটনা ঘটে। তবে এই নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটা অংশের দাবি, গণ অধিকার পরিষদ এই ঘটনাকে নিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে। এদিকে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হামলাকারীদের গ্রেফতার করা না হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে ঘেরাও করা হবে। তাঁর অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করা হবে। তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রধান উপদেষ্টাকে বলতে চাই, যেসব উপদেষ্টা জনগণের পালস বোঝে না, তাদের বাদ দিয়ে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ করুন।' (আরও পড়ুন: পদ্ম সম্মান পেতে UPA জমানায় দিতে হত কোটি টাকা ঘুষ! সোরোসকে দেখে মনে পড়ল রাজীবের)
উল্লেখ্য, যত দিন যাচ্ছে, ততই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে। হাসিনা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে শান্তি ফিরবে বলে আশা করেছিলেন অনেকে। তবে তেমন কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। একদিকে নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা জারি আছে। অপরদিকে আওয়ামি লিগের রেখে যাওয়া 'শূন্যস্থান' দখল করতে উঠে পড়ে লেগেছে অনেক পক্ষ। এরই মাঝে ধীরে ধীরে ইউনুসের সরকারের ওপর থেকে আস্থা হারাচ্ছে অনেকে। বিএনপি থেকে থেকে সরব হচ্ছে। এবার 'ইউনুস সরকারপন্থী' গণ অধিকার পরিষদও উপদেষ্টা সরানোর দাবি তুলল। 'বিরোধ' দেখা দিল বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে। এই আবহে যেন উভয় সঙ্কটে পড়েছেন ইউনুস।