চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ হাসিনার নামাঙ্কিত হস্টেলে ঢুকে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবের প্রতিবাদ করায় বহিষ্কৃত ১০ ছাত্রী। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসিনার নামাঙ্কিত মহিলা হস্টেলে ঢুকে পড়ে 'বিপ্লবী' ছাত্রদের একটি দল। সেই সময় হলের ভিতরে ঢুকে ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। এরই সঙ্গে হস্টেলের সামনে থেকে হাসিনার নামের নামফলক খোলা হয়। এদিকে রাতে মহিলা হস্টেলে ঢুকে পড়ুয়াদের এই তাণ্ডবের প্রতিবাদ করেন কয়েকজন ছাত্রী। তাঁরা নেহাতই নিরাপত্তাহীনতার কারণেই সেই প্রতিবাদ করেছিলেন। এর জেরে তাণ্ডব চালানো 'বিপ্লবীদের' সঙ্গে বচসাও হয় ছাত্রীদের। এরপর সেই ছাত্রীদের 'হাসিনাপন্থী' আখ্যা দেওয়া হয়। এরপর তাঁদের বহিষ্কার করা হয়। (আরও পড়ুন: ২০৩২-এ ভারত, বাংলাদেশে আছড়ে পড়তে পারে YR4 গ্রহাণু, সম্ভাবনা কষে বের করল NASA)
আরও পড়ুন: ভারতের ভোটে ২২ মিলিয়ন ডলার খরচ করত USA? খুঁজে বের করলেন মাস্ক, বিস্ফোরক BJP নেতা
আরও পড়ুন: পদপিষ্ট কাণ্ডে রেল বলল, 'একজন পিছলে...', তদন্তে CCTV খতিয়ে দেখছে পুলিশ
জানা গিয়েছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ রেসিডেন্স, হেলথ অ্যান্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সভয় হাসিনা হলের ১১ ছাত্রীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এদিকে এই ছাত্রীদের বহিষ্কারের প্রতিবাদে বিবৃতি জারি করেছে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী। তাতে বলা হয়েছে, 'গভীর রাতে শেখ হাসিনা হলের নামফলক ও হলের ভিতরে থাকা ভাস্কর্য ভাঙার চেষ্টার সময় পুরুষ শিক্ষার্থীরা জোরপূর্বক মেয়েদের হলে প্রবেশ করে। সেই ঘটনায় নিরাপত্তার স্বার্থে আপত্তি জানানো নারী শিক্ষার্থীদের অন্যায়ভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুধু নিরাপত্তার প্রশ্নে মেয়েদের হলে পুরুষ শিক্ষার্থীদের প্রবেশে আপত্তি তুলেছিলেন। সেই আপত্তিকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর করতে আসা পুরুষ শিক্ষার্থীরা নারী শিক্ষার্থীদের 'আওয়ামি লিগের দোসর' বলে গালাগালি করে। যদিও এই ছাত্রীরা অভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিলেন।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট শক্তিশালী করতে $২৯ মিলিয়ন বরাদ্দ করেছিল USA: DOGE)
আরও পড়ুন: '…তাই তো রে তুই অকাল চিতায়,পূণ্যলোভী যাত্রীকূল', নয়াদিল্লিকাণ্ডে বললেন দেবাংশু
এই আবহে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী বলে, 'পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সামনেই দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। অথচ প্রশাসন নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে সব পক্ষের বক্তব্য না শুনেই সেই ছাত্রীদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে। গত ৫ অগস্টের পরে ৬ মাস পার হয়ে গিয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও ফ্যাসিস্ট জমানার মতো ভিন্নমত দমনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।'