বঙ্গবন্ধুর বাড়ি ভাঙার সঙ্গে হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের কী সম্পর্ক? ইউনুসকে প্রশ্ন বাংলাদেশের ২৬ বিশিষ্ট নাগরিকের। বাংলাদেশ জুড়ে গত ৫ এবং ৬ ফেব্রুয়ারি যে ঘটনা ঘটেছে, তার দায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ঘাড়ে বর্তায় বলে দাবি করেছেন এই বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। রিপোর্ট অনুযায়ী, এই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সুলতানা কামাল, রাশেদা কে চৌধূরি, আনু মহম্মদ, খুশি কবীর, পারভিন হাসান, ইফতেখারুজ্জামান, শামসুল হুদা, সারা হোসেন, সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, সুব্রত চৌধুরী, নূর খান, শাহনাজ হুদা, নোভা আহমেদ, জোবাইদা নাসরিন, মহম্মদ সেলিম হোসেন, শাহ-ই-মবিন জিন্নাহ, জাকির হুসেন, রেজাউল করিম চৌধুরী, মনীন্দ্র কুমার নাথ, সইদ আহমেদ, মিনহাজুল হক চৌধুরী, আশরাফ আলি, শাহাদত আলম, রেজাউল হক, হানা শামস আহমেদ এবং মুক্তাশ্রী চাকমা। (আরও পড়ুন: গরুপাচারকাণ্ডে ২৫.৮৬ কোটি বাজেয়াপ্ত ED-র, মোট অ্যাটাচড সম্পত্তি ৫১ কোটি টাকার)
আরও পড়ুন: বাংলায় বসে অঙ্ক কষলেন দেবাংশু, দিল্লিতে AAP-কে 'জেতালেন' TMC নেতা!
আরও পড়ুন: 'জবাবি শুল্ক' আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, প্রভাব পড়বে ভারতের ওপরও? জোর জল্পনা
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, '৩২ নম্বর ধানমন্ডির ঐতিহাসিক বাড়ি ভাঙার সঙ্গে স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের শক্তি প্রদর্শনের কোনওই সম্পর্ক নেই; বরং এটা একধরনের সন্ত্রাসের প্রদর্শন বলেই জনগণের মনে হয়েছে। যা ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ভাবমূর্তিকেই ম্লান করে দেয়। এটা আমাদের গভীর উদ্বেগের বিষয়। তারুণ্যকে আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ নির্মাণের মূলশক্তি হিসেবে বিশ্বাস করি। সেই তরুণদের একাংশকে কোনও দেশি বা বিদেশি অপশক্তি বিপথে চালিত করছে কি না, সেটি আজ খতিয়ে দেখা খুবই জরুরি।' (আরও পড়ুন: হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো 'বিপ্লবীদের' মারধর স্থানীয়দের, জখম ১৫)
আরও পড়ুন: মাকে দেখতে ভিসা না পেয়ে কনস্যুলেটে 'অনুপ্রবেশ' ভারতীয়-আমেরিকান বামপন্থী নেত্রীর
আরও পড়ুন: 'শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস করবেন না', বাংলাদেশিদের বার্তা ইউনুসের
এর আগে বিবৃতিতে তাঁরা আরও বলেছেন, '৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনার দায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্বে থাকা উপদেষ্টা এবং অন্তর্বর্তী সরকারের ওপরেই অনেকাংশে বর্তায়। সরকারের পক্ষ থেকে ঘটনারে পরে একটি বিবৃতি দিয়ে দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। যেকোনও দেশের ঐতিহাসিক নিদর্শন, স্থান কিংবা কোনও স্থাপনা সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব সেই দেশের রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের। ঐতিহাসিক গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বাড়ি বা অন্য কোনও স্থাপনা - সেই স্থানে কারা কোন সময় বসবাস করেছেন বা কাদের নাম জড়িত, সেই নিরিখে বিচার্য নয়। মূল্যায়ন যে যেভাবেই করুক, তার ওপরে তার সুরক্ষার প্রশ্নটি নির্ভর করে না। এটা সভ্য সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। পৃথিবীর সব দেশেই এভাবে ঐতিহাসিক স্থান ও কীর্তিগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে সুরক্ষা করা হয়। অনেক নির্মম নির্দয় শাসকের বাসভবনও দর্শকেরা তা–ই দেখতে পান, তাদের কীর্তি-অপকীর্তি সম্পর্কেও বহু শত বছর পরও মানুষ জানতে পারেন। আমরা তাই ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারির ঘটনার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সবিস্তার ব্যাখ্যা দাবি করছি।' এরই সঙ্গে এই ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি ও শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে।