গতকাল শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করার পরও হিংসা জারি আছে সেই দেশে। এদিকে হাসিনা দেশ ছাড়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই গণভবনে হামলে পরে বিক্ষোভকারীদের একাংশ। সেখানে দেখা চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা। সেই অরাজকতার একাধিক ছবি ও ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে, যেখানে দেখা যায়, ব্লাউজ, ব্রা হাতে নিয়ে উল্লাস করছে কয়েকজন। অন্তর্বাস হাতে এক যুবকের ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ছবিতে দাবি করা হয়েছে, সেই অন্তর্বাস 'আপা' বা দিদির। এই আবহে অনেকেই দাবি করেছেন, সেটা হাসিনার অন্তর্বাস। এদিকে গণভবনের পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদেও বিক্ষোভকারীরা হামলা চালায়। সংসদে ঢুকে পড়ে রীতিমতো তাণ্ডব চালানো হয়। অভিযোগ ওঠে সেখান থেকে নগদ প্রচুর টাকাও চুরি করা হয়। পরে আন্দোলনকারী কিছু ছাত্র সেই সব চুরি হওয়া টাকা সেনা আধিকারিকদের হাতে তুলে দেয়। সেই ভিডিয়োও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা। (আরও পড়ুন: 'সেনা সমর্থিত সরকার মানব না', মঙ্গল ভোরে নয়া দাবি বাংলাদেশি ছাত্র আন্দোলনকারীদের)
আরও পড়ুন: 'অস্থিতিশীল বাংলাদেশ আগ্নেয়গিরি… প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গে', বললেন 'সম্ভাব্য' PM
আরও পড়ুন: হাসিনার বিদায়ে 'খুশি' USA, নীরব সোমের অরাজকতা নিয়ে, UN তদন্তের দাবি ব্রিটেনের
গতকাল গণভবন থেকে বালিশ, ছাগল, মাছ, শাড়ি, সোফা, শাকসবজি, কাপ নিয়ে পালাতে দেখা গিয়েছে বহু মানুষকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার ভাইরাল একাধিক ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে গণভবনের মধ্যে কয়েকজন মাংস খাচ্ছেন। একটি ভিডিয়োতে দেখা যায়, গণভবনে হাসিনার ঘরের বিছানায় জুতো পরে পা তুলে শুয়ে আছেন একজন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গণভবনে আন্দোলনকারীদের ঢল নামে। গণভবনের সুইমিং পুলে নেমে পড়ে অনেকে। (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রামকৃষ্ণ মিশন, ইসকন সহ ৯ মন্দিরে হামলা, ২৯ জেলায় আক্রান্ত সংখ্যালঘুরা)
আরও পড়ুন: মাশরাফির বাড়ি দেখিয়ে দাবি, 'পুড়ছে লিটনের বাড়ি', ভুয়ো খবর নিয়ে সতর্ক WB পুলিশ
এদিকে বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী, সোমবারের সংঘর্ষে বাংলাদেশে মৃত্যু হয়েছে ১০৯ জনের। পরে অন্যান্য রিপোর্টে দাবি করা হয়, মৃতের সংখ্যা ১৩৫। রাজধানী ঢাকাতে অন্তত ১৩টি পুলিশ স্টেশনে হামলা হয়েছে গতকাল। বাংলাদেশের দু'টি কারাগারে ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এদিকে এই অশান্ত পরিবেশের ফাঁকে বাংলাদেশে বিভিন্ন সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় হামলার অভিযোগ ওঠে। পরে রাতের বেলা সেনার তরফ থেকে কমান্ডারদের ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়। হিন্দুদের ওপর হামলা হলে সেই সব নম্বরে ফোন করতে বলা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নেয় আন্দোলকারী পড়ুয়াদের একাংশ। জানা গিয়েছে, গতকালও হিংসা জারি থাকায়, ২১ জুলাই থেকে বাংলাদেশে মোট মৃতের সংখ্যা ৪৪০-এর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এই মৃতদের মধ্যে প্রাথমিক ভাবে আন্দোলনকারীদের সংখ্যা ছিল বেশি। তবে গতকাল থেকে 'প্রতিশোধ' নেওয়ার নাম করে আওয়ামি লিগ নেতা-কর্মী এবং পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে নির্বিচারে।