অস্থির পরিস্থিতি কি আজ কাটবে? বাংলাদেশের ঘটনাপ্রবাহ দেখে এটাই এখন প্রশ্ন করছেন ওপার বাংলার মানুষজন। এই রক্তারক্তি–হানাহানি দেখতে চাইছেন না পদ্মা নদীর দেশ। আজ, বৃহস্পতিবার বাংলাদেশে অন্তর্বতী সরকার গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের উপর সকলে আস্থা রেখেছেন। তিনি এই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হচ্ছেন। তাই এই দিনটি কাটার পর বাংলাদেশে শান্তি ফিরে আসবে কিনা সেটাই এখন জানতে চান বাংলাদেশিরা। এই আবহে এবার ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার বিষয়ে বিধিনিষেধ আরোপ হল।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক আলোড়ন পড়ে গিয়েছে পদ্মাপারের বাসিন্দাদের মধ্যে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসাবে আন্দোলনকারী ছাত্ররা নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নাম প্রস্তাব করেছেন। আজ, বৃহস্পতিবার তাঁর শপথগ্রহণ। তার মধ্যেই ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার বিষয়ে ঊর্ধ্বসীমা বসিয়ে দিল বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, একসঙ্গে নগদে এক লাখ টাকার বেশি তোলা যাবে না ব্যাঙ্ক থেকে। এই নির্দেশিকা জারি করেছে বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। তবে এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র বৃহস্পতিবারের জন্যই কার্যকর থাকছে। তারপর আবার সব স্বাভাবিক থাকবে।
আরও পড়ুন: ‘আমরা এক ছিলাম এক থাকব’, উত্তরবঙ্গ বিভাজন নিয়ে সরব হয়েছিলেন বুদ্ধবাবু
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সেটা শুধু নগদ লেনদেন ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তবে অনলাইনে টাকা লেনদেনের ক্ষেত্রে এই নিয়ম কার্যকর থাকবে না। সুতরাং অনলাইনে কেউ এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে এক লক্ষ টাকা বা তার বেশি পাঠাতেই পারেন। কিন্তু নগদে তা করা যাবে না। ব্যাঙ্কে থেকে এমন অঙ্কের টাকা তোলা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাঙ্ক থেকে জরুরি বার্তায় সেটা জানানো হয়েছে। কেম এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? সেটা নিয়ে সরকারিভাবে স্পষ্ট কিছু জানানো হয়নি। তবে বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের একটি সূত্রে খবর, এখন গোটা দেশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তার মধ্যে বাড়তি টাকা দিয়ে খারাপ কাজ করা যেতেই পারে। তাই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যেহেতু আজ অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ।
শেখ হাসিনার প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেওয়ার পর গোটা বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়। লুঠপাঠ, হানাহানি, সংঘর্ষে আইনশৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। তাই তার সঙ্গে বাড়তি অর্থ যোগ করলে আরও গোলমাল হতে পারে সেখানে। আওয়ামী লিগের সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের ব্যাঙ্কগুলিতে নগদ টাকা তোলার চাপ বেড়ে গিযেছে। কারণ অনেকেই এই অশান্তি থেকে অন্যত্র চলে যেতে চান। দেশ ছেড়ে অন্য দেশে পাড়ি দিতে চান। সেটা টাকা না থাকলে সম্ভব নয়। আবার আওয়ামী লিগের নেতারা এবং ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের পরিবার নগদ টাকা তোলার ক্ষেত্রে সক্রিয়। প্রাণভয়ে এটা করছেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর।