বাংলাদেশের নির্বাচনে এবার লড়াই করবেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ এই নেত্রী। আর ৭৯ বছর বয়স তাঁর। যদিও শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে আগামী নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ১৯৯১–১৯৯৬, ২০০১–২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে জেলে যেতে হয় খালেদা জিয়াকে। সদ্য শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়েছে। তার পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মহম্মদ শাহাবুদ্দিন।
বাংলাদেশে এখন হাসিনা সরকার অতীত। তাই বুধবার ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়া। টানা ৬ বছর পর প্রকাশ্য সভায় বক্তব্য রাখেন খালেদা জিয়া। আর সেখানেই শান্তির বাংলাদেশ গড়ার ডাক দেন বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। সব ধর্মের ও গোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করার কথাও বলেছেন। হাসপাতাল থেকেই ভিডিয়োর মাধ্যমে এই সমাবেশে কথা বলেন বিএনপি’র চেয়ারপার্সন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন একাধিক নির্বাচন বয়কট করে বিএনপি। তবে এবার নির্বাচনে আবার খালেদা জিয়া লড়াই করতে পারেন বলে জানান ফখরুল।
আরও পড়ুন: সব থানাতেই বসতে চলেছে ‘নাইট ভিশন ক্যামেরা’, লালবাজারের ফরমানে চাপে পুলিশ
এখন বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হয়েছে। যার প্রধান নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউসুফ। এরপর হবে বাংলাদেশে সরকার গঠনের নির্বাচন। এই প্রেক্ষিতে শনিবার, সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি–কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি নানা অসুখে ভুগছেন। এখনও হাসপাতালেই আছেন আমাদের নেত্রী। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁর এখন বিদেশ যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা নেই। তাঁকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়া যাবে না। তাই আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে তিনি যদি সুস্থ থাকেন তাহলে অবশ্যই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন।’
এই নির্বাচনের পরিস্থিতি তৈরি হলে শেখ হাসিনা আবার বাংলাদেশে ফিরবেন বলে তা জানিয়ে দিয়েছেন তাঁর পুত্র জয়। এমনকী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি। তাই এই অন্তর্বর্তী সরকার বেআইনিও বলেছেন তিনি। শেখ হাসিনা এখন নয়াদিল্লিতে আছেন। এই আবহে কদিন আগেই বিএনপির আর এক নেতা গয়েশ্বর রায় জানান, তাঁরা ভারত এবং হিন্দু বিরোধী নন। ভারতের উপর তাঁরা নানাভাবে নির্ভরশীল। আর এবার ফখরুল জানালেন বাংলাদেশে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে পারলে ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে উন্নয়নের কাজ করবে বিএনপি।