সরকার পতনের পর সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচার, তার ওপর সীমান্ত ইস্যু নিয়ে সম্প্রতি ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এমনকী ভারতীয় মৌসম ভবন আইএমডির দেড়শ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে পাকিস্তানসহ অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলি যোগ দিলেও আসছে না বাংলাদেশ। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও ভারত থেকে প্রচুর পরিমাণে ডিজেল আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ভারতীয় পেঁয়াজ স্থলপথে ঢুকতেই চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ?
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ১,৩ লক্ষ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রবিবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তারপরে ডিজেল কেনার বিষয়টি অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে এই পরিমাণ ডিজেল বাংলাদেশ ভারত থেকে আমদানি করবে। এর জন্য বাংলাদেশের খরচ পড়বে ১,১৩৭ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, এ বছর বিপিসির পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদা ৭.৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন। এর মধ্যে ৪.৬ মিলিয়ন টন ডিজেল, যার ৮০% সরাসরি আমদানি করা হয়। বাকি স্থানীয় শোধনাগার থেকে পাওয়া যায়। বিপিসি নিয়মিতভাবে এনআরএল থেকে পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করে। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এই তেল ট্রেনে করে আমদানি করছে বাংলাদেশ।এর আগে, অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার ভারত থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতি চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
উল্লেখ্য, এবছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে প্রায় ১৪ লক্ষ টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে ৭টি দেশের আটটি সংস্থা থেকে এই পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। ভারত ছাড়াও যে দেশগুলি রয়েছে সেগুলি হল- চিন, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান।
দেশগুলি থেকে এই পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানিতে ব্যয় হবে প্রায় ৯৬ কোটি মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ হল ১১ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা। সম্প্রতি অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে চলতি বছরের সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে এই তেল ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়। এই পরিমাণ আমদানি করা তেল জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত দেশের চাহিদা মেটাবে।