বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বাংলাদেশকে ১.১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। সম্প্রতি, এই ঋণের বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে দুই আন্তর্জাতিক সংস্থা। ডিসেম্বর শেষ হতে আর মাত্র কয়েকদিন, এই কয়েকদিনের মধ্যেই এই পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশকে ঋণ দেবে বিশ্ব ব্যাঙ্ক এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক। এর ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন আরও গতিশীল হবে বলে মনে করছে প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের অন্তবর্তী সরকার।
আরও পড়ুন: শুধু হাসিনাই নন… রেহানা, সজীব, টিউলিপের লেনদেনের নানান নথি তলব ইউনুসের কমিশনের
বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, বাজেট সহায়তার পাশাপাশি, বিশ্ব ব্যাঙ্ক স্বাস্থ্য ও পুষ্টি খাতে ৩৭৯ মিলিয়ন এবং চট্টগ্রামে জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য ২৮০ মিলিয়ন ডলার প্রকল্প সহায়তার অনুমোদন দিয়েছে। গত ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার এবং এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের মধ্যে ‘স্ট্রেংথেনিং ইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচির জন্য ৬০০ মিলিয়ন ডলারের একটি ঋণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অর্থ বিভাগের উদ্যোগে এ কর্মসূচি প্রণয়ন করা হয়।
অন্যদিকে, এর পরের দিনই গত ১৯ ডিসেম্বর বিশ্বব্যাঙ্ক বাংলাদেশকে ৫০০ মিলিয়ন বাজেট সহায়তার অনুমোদন করেছে। ‘সেকেন্ড বাংলাদেশ গ্রিন অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ডেভেলপমেন্ট ক্রেডিট’-এর অধীনে এই তহবিল প্রদান করা হয়েছে। যার লক্ষ্য দেশের সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে সহায়তা করার জন্য সংস্কারকে সমর্থন করা। এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মোট ১.১ বিলিয়ন ডলার বাংলাদেশ পেয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ অগস্ট ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরেই চরম অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। তার ওপর সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি এবং নতুন করে অস্থির হয়ে ওঠার কারণে দেশটিতে অর্থনৈতিক দুরবস্থা চরমে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে নতুন অন্তবর্তী সরকার। এই অবস্থায় প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ- আইএমএফ, বিশ্ব ব্যাঙ্ক, এডিবি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক ঋণদাতাদের কাছ আগেই ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সাহায্য চেয়েছিল। তাতে আইএমএফ বাংলাদেশকে অতিরিক্ত ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কমপক্ষে ২ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য আইএমএফকে চাপ দিচ্ছে।সব মিলিয়ে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর দায়িত্ব নেওয়া অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে আরও ৬ বিলিয়ন ডলার চেয়েছে।