বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পরই ভারতে ইলিশ রফতানি নিয়ে বড় ঘোষণা করেছিল। চলতি মাস সেপ্টেম্বর শেষ হলেই অক্টোবর মাসের শুরুতে দুর্গাপুজো। সাধারণত প্রতিবছর দুর্গাপুজোর আগে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে পদ্মার এপারে রফতানি করে। এই রীতি রেওয়াজ চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে এবার রীতি রেওয়াজের সম্পর্কে আঁচড় পড়েছে। বাংলাদেশ সরকার জানিয়ে দিয়েছে ইলিশ রফতানি করবে না। তবে ইলিশ রফতানি বন্ধ করলেও এখনও দেশের বাজারে ইলিশের দাম সেভাবে কমেনি। বরঞ্চ গতবারের থেকে ইলিশের দাম কিছুটা বেশিই আছে। তবে কমার সম্ভাবনা করছেন ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: ‘এজন্য বিয়ে-অন্নপ্রাশন হবে না?’ RG করের আবহে ইলিশ উৎসব বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়কের
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এতদিন পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে ভারতের ইলিশ রফতানি হতো বলেই দেশটিতে ইলিশের দাম বেড়ে যেত। তবে জানা যাচ্ছে, নতুন সরকার ইলিশ না পাঠানোর ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে আকারের ভিত্তিতে মাছের দাম কেজিতে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কমেছে। এখন মাছ বাজারে প্রচুর পরিমাণে পদ্মা নদীর ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। বাংলাদেশের বাজার এখনও পদ্মা নদীর ইলিশ, বরিশাল, চাঁদপুর জেলার ইলিশের ভর্তি। তবে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে পদ্মার ইলিশ। সেটি অবশ্য অপেক্ষায় বরিশালের ইলিশের চেয়ে আকারে ছোট। তবে স্বাদে ভালো। এদিকে, ইলিশের দাম কমলেও এখনও দাম গত বছরের থেকে কিছুটা বেশিই আছে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এখন মাছের সিজন চলার ফলে বাজারে মাছের পরিমাণ বেশি। আগামীদিনে সেই দাম আরও অনেকটাই কমে যাবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
উল্লেখ্য, এই ধরনের নিষেধাজ্ঞা এবারই প্রথম নয়। তিস্তা নদীর জল বণ্টন চুক্তি নিয়ে বিরোধের কারণে ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ইলিশ রফতানি নিষিদ্ধ ছিল। ফলস্বরূপ দামে তীব্র বৃদ্ধি এবং এমনকী ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মাছের চোরাচালান বেড়েছিল। এবার যাতে সেরকম না হয় তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে শেখ হাসিনা ভারতে ৫০০ টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দিয়েছিলেন। গত বছরেও ভারতে পুজোর আগে ইলিশ রফতানি হয়েছিল। তবে এবার আর বাঙালির পাতে পড়বে না ওপার বাংলার ইলিশ।