ভারতীয় কোম্পানি জিএমআর কারনালি হাইড্রোপাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং এনটিপিসি বিদ্যুৎ ভাইপার নিগমের সঙ্গে বাংলাদেশ পাওয়ার কেনার চুক্তি সই করবে। এর চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনতে পারবে।
নেপালের রাজধানী, কাঠমাণ্ডুর একটি নিউজ পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী গত বৃহস্পতিবার দুই দেশের একটি বৃহৎ স্টিয়ারিং মিটিং হয়েছে সেখানেই ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশের পিপিএ চুক্তি সই করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে ওপার বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দিল্লি সফরে আসবেন তখনই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।
আদতে এই পিপিএ চুক্তিটি একটি বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যে যে আন্তঃসীমান্ত শক্তি লেনদেন হবে সেটারই কৌশলগত পদক্ষেপ। বহুদিন থেকেই বাংলাদেশ নেপালের থেকে বিদ্যুৎ কিনতে আগ্রহী সেটা জানা গিয়েছে এবং তারা সেই আগ্রহ দেখিয়েও আসছে।
বাংলাদেশের বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা হল ২৫,০০০ মেগাওয়াট, এর সঙ্গে ওই ৫০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ আমদানি যোগ হবে। এই ২৫,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ৪০ শতাংশ এখনও অব্যবহৃত আছে। তবে এখন জ্বালানি সংকটের কারণে বাংলাদেশ সরকারকে হিসেব করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হচ্ছে। ২,০০০ মেগাওয়াটের লোডশেডিং দিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশ এছাড়া এখন নেপাল থেকেও বিদ্যুৎ আমদানি করতে চলেছে। এই পিপিএ চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় কোম্পানি জিএমআর নেপালে বিদ্যুৎ তৈরি করবে। অন্যদিকে এনভিভিএন ভারতীয় এলাকার মধ্যে দিয়ে সেই বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করবে। এই চুক্তি হলে, বাংলাদেশ যদি নেপাল থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করে তাহলে সেক্ষেত্রে সেই বিদ্যুৎ ভারতীয় এলাকার উপর দিয়েই নিয়ে যেতে হবে। এবং এটি ভারতীয় কোনও কোম্পানি থেকেই কিনতে হবে।
এনভিভিএন হচ্ছে ভারতের একটি বিদ্যুৎ ব্যবসায়ী কোম্পানি, অন্যদিকে দিল্লি ভিত্তিক জিএমআর গ্রুপের ভর্তুকিভিত্তিক জিএমআর কারনিল হাইড্রোপাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড এবং ভারত সরকারের এনটিপিসি লিমিটেড দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। এটা ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
২০১৯ সালেই বাংলাদেশ সরকারের যে ক্রয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি আছে সেটা নেপাল থেকে ভারতীয় কোম্পানির ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি প্রস্তাবে অনুমোদন করেছিল। ভারতের যে রেগুলেটরি কমিশন আছে তার সমস্ত শর্ত মেনেই ভারতীয় কোম্পানি এনভিভিএন এই বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে বাংলাদেশে।