মার্কিন আদালতে সাজার মুখে এক বাংলাদেশি। ৩৬ বছর বয়সী মহম্মদ দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তিনি তালিবানে যোগ দিয়ে জেহাদিদের আর্থিক মদত দিচ্ছিল। জানা গিয়েছে, মার্কিনিদের হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার মামলায় নিউইয়র্কের ফেডারেল কোর্টে দোষী প্রমাণিত হয়েছে দেলোয়ার হুসেন।
জানা গিয়েছে, দেলোয়ার হুসেন ট্যাক্সি চালক ছিলেন। নিউইয়র্কের ব্রঙ্কসে স্ত্রী, সন্তানদের সঙ্গে বাস করত সে। ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই আফগানিস্তানে যাওয়ার উদ্দেশে নিউইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্টে ঢুকেছিল সে। আফগানিস্তানে গিয়ে তালিবানে যোগ দেওয়ার মতলব ছিল তার। বিমানবন্দরেই দেলোয়ারকে গ্রেফতার করে এফবিআই। এরপর প্রায় একবছর গৃবন্দি ছিল দেলোয়ার। জানা যায়, নিউইর্ক থেকে মধ্যপ্রাচ্য হয়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল দেলোয়ারের। সেখান থেকে নিজ দেশে ফিরে নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করে ভারত-পাকিস্তান হয়ে আফগানিস্তানে যেতে চেয়েছিল সে।
শুনানি চলাকালীন প্রমাণিত হয় যে, দেলোয়ার তালিবান ক্যাম্পে সশস্ত্র ট্রেনিং শেষে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং আমেরিকানদের হত্যার অভিযানে নামতে চেয়েছিল। সেই মামলার শুনানি হয় ম্যানহাটানের মার্কিন ফেডারেল কোর্টে। শুক্রবার এই মামলার শুনানি শেষ হয়। আদালতে শুনানি শেষে দেলোয়ারকে দোষী সাব্যস্ত করে বিশেষ জুরি বোর্ড। আগামী ১২ জানুয়ারি জজ সিডনি এইচ স্টাইন দেলোয়ারের সাজা শোনাবেন।