অনুপ্রবেশ করে ভারতে এসেছিলেন তিনবছর আগে দুই বাংলাদেশি মহিলা। কাজের খোঁজেই নাকি এদেশে আসা তাঁদের। এরপর কয়েক বছর ধরে তাঁরা নাকি অবৈধভাবে বেঙ্গালুরুতে কাজ করেছেন। এবছর ইদে নিজের দেশে ফিরতে ইচ্ছে করায় ফের চোড়া পথেই সীমান্ত পার করার চেষ্টা করেছিলেন দু'জন। এই আবহে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের হাতে ধরা পড়ল রোজিনা খান এবং জুলি। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত থেকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের সময় সাতক্ষীরার শ্যামনরের শৈলখালী সীমান্ত থেকে তারা ধরা পড়ে। (আরও পড়ুন: আরও বেশি মুসলিম যদি IAS-IPS হন, তাহলে সমাজেরই উপকার হবে: নীতিন গডকড়ি)
আরও পড়ুন: ট্রাম্পের নির্দেশে হুথিদের বিরুদ্ধে মার্কিন সামরিক অভিযান, মৃত্যুমিছিল ইয়েমেনে
১৪ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে শৈলখালি সমীন্তের কচুখালি-হুগলডাঙ্গা থেকে এই বাংলাদেশি মহিলাদের আটক করা হয়। এদিকে ধৃতদের কাছ থেকে ৭টি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে ভারতীয় পোশাক এবং প্রসাধন সামগ্রী পাওয়া গিয়েছে। এরপর তাঁদের জেরা করে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বেঙ্গালুরু শহরে কাজ করতেন তাঁরা এবং সেখানেই বসবাস করতেন। ইদে নিজের দেশে ফিরতে চেয়েছিলে তাঁরা। ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করে অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: ধৃত ২১, হোলির দিন গোষ্ঠী সংঘর্ষের পর কেমন আছে সাঁইথিয়া? সংঘাত নানুরেও)
আরও পড়ুন: হাসিনার খুড়তুতো ভাই ভারতে হিন্দু সেজে থাকছেন, আছে আধার, অভিযোগ বাংলাদেশ মিডিয়ার
এর আগে আবার সম্প্রতি বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি অবৈধবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দিল্লিতে। দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লি ও দক্ষিণ দিল্লি থেকে ১২ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই সব বাংলাদেশিদের কাছে অনেক ধরনের নথিও পাওয়া গিয়েছিল। এদিকে বাংলাদেশিদের কাছে প্রাপ্ত নথি তৈরি করতে কারা তাদের সাহায্য করেছে, সেই দালাল চক্রের খোঁজেও তদন্ত চালানো হচ্ছে।
এর আগে সম্প্রতি দিল্লির সদর বাজারেও তল্লাশি অভিযান চালায় দিল্লি পুলিশ। সদর বাজার থেকে দুই অবৈধ বাংলাদেশিকে আটক করেছিল পুলিশ। ধৃতদের নাম মহম্মদ বিলাল ও ফারুক। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই বাংলাদেশির বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। উত্তর দিল্লির পুলিশ কমিশনার রাজা ভাটি জানিয়েছেন, ফরেনার্স অ্যাক্টে দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। বাংলাদেশি নাগরিকদের গ্রেফতারের পর তথ্য দিয়ে পুলিশ জানায়, ফারুকের বিরুদ্ধে দুটি চুরির মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, ৭ মার্চ তাদের কাছে গোপন খবর আসে। সেই গোপন সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিলাল নামে ৭৫ বছর বয়সি এক বাংলাদেশি নাগরিককে ৭৮১৬/৮, নয়ি বস্তি, ফিল্মিস্তান, সদর বাজার থেকে আটক করা হয়। সে বাংলাদেশের খুলনা জেলার মারোলগঞ্জ গ্রামের বাসিন্দা। তল্লাশির সময় তার কাছ থেকে একটি ভারতীয় ভোটার কার্ড উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তার ভোটার কার্ড বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এদিকে কীভাবে এই ভোটার কার্ড ইস্যু করা হয়, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে ১০ মার্চ বিলালের ২৬ বছর বয়সি ছেলে ফারুককেও গ্রেফতার করা হয়।