সইফ আলি খানকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় ধৃত এক বাংলাদেশি। বেআইনি পথে মেঘালয় দিয়ে সীমান্ত পার করে নাকি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল শরিফুল ইসলাম শেহজাদ। সেখান থেকে মুম্বইতে এসে ঘাঁটি গাড়ে সে। এহেন বহু 'শরিফুল' বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভাবে এসে মুম্বইতে বসবাস করে বলে অভিযোগ বহু বছরের। এই আবহে গত এক মাসের মধ্যেই নাকি মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে ৪০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। (আরও পড়ুন: এই তো ইউনুসের সরকার চালানোর নমুনা, প্রতি মাসে গড়ে ৩১৩ জন খুন বাংলাদেশে)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দু ছাত্র খুন: পরীক্ষা দিতে না গিয়ে দাদার মুখাগ্নি ছোট ভাই অনীকের
ক'দিন আগেই মুম্বইয়ের অদূরে অবস্থিত কল্যাণ–ডোম্বিভলি শহর থেকে পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। দাবি করা হচ্ছে, এরই সঙ্গে মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গা থেকে সব মিলিয়ে ৪০ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে গত ১ মাসে। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা প্রত্যেকেই অবৈধভাবে ভারতে বাসবাস করছিলেন বলে মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে। ধৃতদের কারো কাছে পাসপোর্ট বা বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। মুম্বই, থানের পাশাপাশি নভি মুম্বই, নাসিকেও বাংলাদেশিদের বসবাস আছে বলে অভিযোগ। এই আবহে গত একমাস ধরে এই অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে জোর তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। এই অনুপ্রবেশকারীদের অনেকেই আবার ভুয়ো নথি দিয়ে ভারতীয় পরিচয়পত্র (আধার ও প্যান) বানিয়েছিল। (আরও পড়ুন: 'ভারতের দিকে তাকিয়ে…', প্রাক্তন আওয়ামি MP-মন্ত্রীদের গ্রুপে তলে তলে ছক কষা হচ্ছে)
আরও পড়ুন: '৩ জনের নাম যাতে সামনে না আসে…', আরজি কর মামলায় বিস্ফোরক সঞ্জয় রায়ের নয়া আইনজীবী
এদিকে মুম্বইতে সইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় ধৃত শরিফুল ইসলাম শেহজাদের বাবা নাকি বাংলাদেশে একজন বিএনপি নেতা। নাম মহম্মদ রহুল আমিন। তাঁর কথায়, 'আমার ছেলে বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে যায় এখানকার টালমাটাল অবস্থার জন্য। হাসিনা সরকারের কারণেই ছেলেকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে চলে যেতে হয়। ওর বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা মামলা ছিল। তাই ও কাজের খোঁজে ভারতে গিয়েছিল।' (আরও পড়ুন: আরজি করের নির্যাতিতার ম-বাবাকে 'ষড়যন্ত্রকারীদের মুখপাত্র' আখ্যা কুণাল ঘোষের)
আরও পড়ুন: 'আওয়ামি লিগ যদি দিল্লির কোলে বসে…', নির্বাচনে হাসিনার দলে 'না' ইউনুসের উপদেষ্টার
এদিকে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলে আবার তাতে আপত্তি বিজিবির। এদিকে অনুপ্রবেশকারী বা পাচারকারীদের গুলি করলে তাতেও আপত্তি ওপারের শাসক গোষ্ঠীর। প্রসঙ্গত, বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই সীমান্তে কাঁটাতার দেওয়া নিয়ে সংঘাত দেখা গিয়েছে বিএসএফ এবং বিজিবির মধ্যে। এই আবহে একধিক জায়গায় ভারতীয় ভূখণ্ডের কাঁটাতার দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ছে বিএসএফ। এর জেরে সীমান্তের বহু জায়গায় ছড়িয়েছে উত্তেজনা। এই ইস্যুতে বাংলাদেশের দাবি, ১৯৭৫ সালে যে আন্তর্জাতিক সীমান্ত চুকি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছিল, তা অনুযায়ী, সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ১৫০ গজ ভিতরে 'প্রতিরক্ষা কাঠামো' তৈরি করা যাবে। এদিকে ২০১০ সালে অবশ্য বাংলাদেশ ভারতকে লিখিত আকারে অনুমতি দিয়েছিল যে সীমান্তে ১৫০ গজের ভিতরেও প্রয়োজনে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারবে ভারত। এই কথা নিজে স্বীকার করেছেন বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গির আলম চৌধুরী। এখন বাংলাদেশের পটপরিবর্তনের পরে তাদের অভ্যন্তরীণ সমীকরণ যাই হয়ে থাকুক না কেন, আগের কোনও চুক্তি বাতিলের আগে দ্বিপাক্ষিক আন্তর্জাতিক চুক্তি মানতে বাধ্য তারা।