কেরলে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে 'অপারেশন ক্লিন'। রাজ্যে কর্মসংস্থানের অভাবে অনেক পরিযায়ী শ্রমিকই দক্ষিণের রাজ্যে পাড়ি দেয় পশ্চিমবঙ্গ থেকে। তাঁদের অনেকেই কেরলে কাজ করেন। সেই সব পশ্চিমবঙ্গবাসীদের মাঝে লুকিয়ে থাকেন বহু বাংলাদেশিও। সেই বাংলাদেশিরাও নিজেদের পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। এমনই সব অনুপ্রবেশকারীদের ধরতে বিগত দিনে অভিযান চালু হয়েছে কেরলে। আর সেই অভিযানেই এবার ধরা পড়লেন বাংলাদেশি ব্যক্তি দশরথ বন্দ্যোপাধ্যায় (বয়স ৩৮ বছর)। দশরথের স্ত্রী মারি বিবিও (বয়স ৩৩ বছর) গ্রেফতার হয়েছেন এই অভিযানে। (আরও পড়ুন: 'শেখ হাসিনার পরিবারের সম্পত্তি ধ্বংস করবেন না', বাংলাদেশিদের বার্তা ইউনুসের)
আরও পড়ুন: মাকে দেখতে ভিসা না পেয়ে কনস্যুলেটে 'অনুপ্রবেশ' ভারতীয়-আমেরিকান বামপন্থী নেত্রীর
এর আগে 'অপারেশন ক্লিনের' অধীনে একই আবাসন থেকে ২ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ধরেছিল কেরল পুলিশ। উত্তর পারাভুরের আবাসনে থাকা এই বাংলাদেশিরা ভুয়ো আধার এবং অন্যান্য নথি ব্যবহার করে কেরলে কাজ করছিলেন এবং থাকছিলেন। এই ২৭ জন যে বাংলাদেশি তা তাঁদের 'বাংলা বলার ধরন' (বাঙাল টান) থেকে এবং মোবাইলে পাওয়া বিভিন্ন তথ্য থেকে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এর মধ্যে আবার মহম্মদ সমাজুল হক নামে এক যুবককে কোনডট্টি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সমাজুল বাংলাদেশি পাসপোর্টেই কেরলে এসেছিল এবং ভিসার মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরও ভারত ছাড়েনি। (আরও পড়ুন: হাসিনার মন্ত্রীর বাড়িতে হামলা চালানো 'বিপ্লবীদের' মারধর স্থানীয়দের, জখম ১৫)
আরও পড়ুন: 'জবাবি শুল্ক' আরোপের ঘোষণা ট্রাম্পের, প্রভাব পড়বে ভারতের ওপরও? জোর জল্পনা
উত্তর পারাভুরের আবাসন থেকে গ্রেফতার হওয়া বাংলাদেশিরা হল - মহম্মদ মেন্দি হাসান (বয়স ২৫ বছর), বকুল (বয়স ১৮ বছর), সুজন (বয়স ১৮ বছর), মহম্মদ অসীম (বয়স ২০ বছর), বাবু মুন্ডল (বয়স ৩৫ বছর), মহম্মদ সোনাল রানা (বয়স ৩০ বছর), মোহন মন্ডল (৩২), লিটন মন্ডল (বয়স ২৭ বছর), আমশিদ আলি (বয়স ৩০ বছর), পলাশ (বয়স ২৫), মহম্মদ মুনদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম (হয়স ২৫ বছর) , শরিফুল (বয়স ৫০ বছর), ফজুল হাসান (বয়স ৩০ বছর) লাবু (বয়স ১৮ বছর), রবিউল (বয়স ৩৫ বছর), মোহন (বয়স ৩৫ বছর), সাগর ইসলাম (বয়স ২৩ বছর), মিঠুন (বয়স ৩০ বছর), মহম্মদ শাকিম (বয়স ২৬ বছর), রাজীব (বয়স ২৪ বছর), রফিকুল (বয়স ৩০ বছর), মহম্মদ মিলন (বয়স ২৫ বছর), মহম্মদ আলিফ আলি (বয়স ২৩ বছর), মহম্মদ উজ্জ্বল (বয়স ২৭ বছর), মহম্মদ আশি কইসলাম (বয়স ৩২ বছর)। পুলিশের মতে, ধৃত ব্যক্তিরা অবৈধভাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছিল। পরে, তারা পশ্চিমবঙ্গের এজেন্টদের সহায়তায় ভুয়ো ভারতীয় আইডি তৈরি করে কেরলে চলে যায়। (আরও পড়ুন: বাংলায় বসে অঙ্ক কষলেন দেবাংশু, দিল্লিতে AAP-কে 'জেতালেন' TMC নেতা!)
আরও পড়ুন: মুজিবের বাড়ি ভাঙায় বিদেশি অপশক্তির হাত? বাংলাদেশি বিশিষ্টদের প্রশ্নবাণ ইউনুসকে
উল্লেখ্য, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকেই কেরলের এর্নাকুলাম গ্রামীণ পুলিশ জেলায় বাংলাদেশি অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে অপারেশন ক্লিন পরিচালনা করছে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৪০ জনকে এর্নাকুলাম গ্রামীণ পুলিশ গ্রেফতার করেছে এই অভিযানে। কোচি সিটি পুলিশ এক মাসে ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে এই অভিযানে। জেলায় অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের অবস্থান সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে এটিএস।