ভারতের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বাংলাদেশের ইসলামি নেতার। ইসলামি আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি সম্প্রতি এক জনসভা থেকে 'ইসলাম বিরোধীদের' পেটানোর নিদান দেন। তিনি বলেন, 'এগুলোকে পেটাতে হবে। এদের মার ছাড়া কোনও উপায় নেই।' এদিকে ভারত নিয়ে তাঁর অভিযোগ, 'ভারতের জন্যেই বাংলাদেশের আজ এই অবস্থা'। (আরও পড়ুন: '…ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হবে বাংলাদেশ', শঙ্কায় ঢুবে পড়শি দেশের সংবাদ সম্পাদক)
আরও পড়ুন: প্রথমে ধর্ষণ, তারপর খুন করা হল বাংলাদেশি তরুণীকে, দেহ মিলল কর্ণাটকের লেকের পাশে
ভারত প্রসঙ্গে মোসাদ্দেকের বক্তব্য, 'হাসিনা ভারত সরকারের পুতুল হিসেবে ছিল। তুমি যেমনে নাচাও তেমনে নাচি... পুতুলের কী দোষ? এখন তাদের ফিরিস্তি বের হচ্ছে... শেখ হাসিনা কত লক্ষ কোটি টাকা পাচার করছে। তাঁর ছেলে জয়, মেয়ে পুতুল ও তাঁর বোন রেহানা লক্ষ কোটি টাকা পাচার করছে। প্রধানমন্ত্রী, তিনশ এমপি, মন্ত্রী, গুণ্ডা-পাণ্ডাসহ সব পালিয়েছে। এদের ভারত আশ্রয় দিয়েছে। তাহলে দেখা গেল ভারতই এটার সব কিছুর মূল।' (আরও পড়ুন: ফের সংখ্যালঘু রক্ত ঝরল বাংলাদেশে, হিন্দু পড়ুয়াকে নৃশংস ভাবে খুন খুলনায়)
আরও পড়ুন: ঢাকায় হিন্দু ব্যবসায়ীকে গুলি, ছিনিয়ে নেওয়া হল ৮০০ গ্রাম সোনা ও ৪ লাখ নগদ
এদিকে 'ইসলাম বিরোধীদের' নিয়ে তাঁর বক্তব্য, 'আপনাকে প্রয়োজনে মারতে হবে। লড়তে হবে।' তিনি বলেন, 'খুনের পরিবর্তে খুন- আল্লা কেন কোরানে এই আয়াতের উল্লেখ করেছেন? কারণ তিনি জানেন, কিছু মানুষ আছে যারা চতুষ্পদ জানোয়ারের চেয়েও খারাপ। এগুলোকে পেটাতে হবে, খুন করতে হবে। এগুলোকে মার ছাড়া কোনও উপায় নেই।' (আরও পড়ুন: গড়ে উঠবে নতুন ২ কারখানা, কয়েক কোটির বিনিয়োগ হবে হলদিয়ায়)
উল্লেখ্য, বিগত দিনে শেখ হাসিনার বিদায়ের পর থেকেই বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে মৌলবাদ। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ভারতের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ। সেখানকার ইসলামি নেতা ও ধর্ম প্রচারকরা ভারত বিরোধী উস্কানিমূলক মন্তব্য করেই চলেছেন। এমনকী মাঝে মাঝে সরকারি পদে থাকা ক্ষমতাসীনদের মুখেও ভারত বিরোধী উস্কানিমূলক মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। সরকারের উপদেষ্টা থেকে বিজিবি কমান্ডার, অনেকের মুখেই ভারত বিরোধিতার সুর চড়ছে। এদিকে রাজনীতিবিদরাও মৌলবাদের জোয়ারে ভেসে ভারত বিরোধী মন্তব্য জারি রেখেছেন। (আরও পড়ুন: ট্রাম্প প্রশাসনের বড় পদক্ষেপ, ইউক্রেনের পায়ের তলা থেকে মই টেনে নিল আমেরিকা)
এদিকে শেখ হাসিনা ভারতে এসে আশ্রয় নেওয়ায় দিল্লিকে আক্রমণ শানানোর একটি হাতিয়ার যেন এমিতেই হাতে চলে এসেছে বাংলাদেশি মৌলবাদীদের কাছে। এরই সঙ্গে অতিরঞ্জিত করে নানান ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব তাঁরা খাড়া করেছেন। সেখানকার মানুষের মনে ভারতের প্রতি আরও বেশি করে বিদ্বেষ ছড়িয়ে দিয়ে ভাষণ দিয়ে চলেছেন এই সব ধর্মীয় নেতারা।