এবার ইসকনকে নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়ে ময়দানে বাংলাদেশের আইনজীবীদের একটি সংগঠন। 'ভয়েস অফ লয়ার্স অফ বাংলাদেশ' নামক এই সংগঠনের নেতাদের হুঁশিয়ারি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে বাংলাদেশে নয়ত তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম 'রোড মার্চ' করেছিলেন এই সংগঠনের আইনজীবীরা। এই সংগঠনের তরফ থেকে অ্যাডভোকেট মহম্মদ শামসুল আলম অভিযোগ করেন, ভারতের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছিল ইসকন। ওদিকে এই সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করেন, ভারত নাকি বাংলাদেশকে দখল করে নিতে চায়। (আরও পড়ুন: 'বাংলাদেশের এক ইঞ্চি মাটিতেও...', ভারতকে কি ভয় পাচ্ছে জামাতে ইসলামি?)
আরও পড়ুন: কানাডায় খুন ৩ ভারতীয় পড়ুয়া, সতর্কতা জারি দিল্লির, খলিস্তান ইস্যুতে 'নয়া বিতর্ক'
অ্যাডভোকেট গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বলেন, 'ভারত সাম্রাজ্যবাদী ও আগ্রাসী দেশ। তারা সিকিমকে দখল করে নিয়েছে। বাংলাদেশও দখল করে নিতে চায়। তাই তারা উস্কানি দিচ্ছে। তবে তাদের এই উস্কানির ফাঁদে পা দিলে চলবে না। অবিলম্বে ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। নয়ত আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।' এই সংগঠনের অপর এক সদস্য আইনজীবী তৈমুর আলম খন্দকার আবার বলেন, 'ইসকন বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চাইছে। এবং ভারতীয় মিডিয়া তাতে উস্কানি দিচ্ছে। আমাদের ধৈর্যের সঙ্গে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হবে।' (আরও পড়ুন: লাদাখের ডেপস্যাঙে কি সব প্যাট্রোলিং পয়েন্টেই টহল দিতে পারবে ভারতীয় সেনা?)
আরও পড়ুন: OpenAI-এর 'পর্দা ফাঁস' করা ভারতীয় বংশোদ্ভূতের রহস্যমৃত্যু ক্যালিফোর্নিয়ায়
প্রসঙ্গত, ভারতের উত্তরপূর্ব সহ পশ্চিমবঙ্গ 'দখল' করা বা ভেঙে দেওয়ার দাবিতে সম্প্রতি আলটপকা মন্তব্য করে চলেছেন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ। সোশ্যাল মিডিয়াতেও অনেকে এই অদ্ভূত দাবি করে পোস্ট করছেন। এরই মাঝে নিজেদের দেশে চট্টগ্রাম আলাদা হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বাংলাদেশিরা। এই আবহে দাবি উঠেছে, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার লক্ষ্যে ফেনিতে যেন বাংলাদেশ সেনার একটি ক্যান্টনমেন্ট তৈরি করা হয়। (আরও পড়ুন: ভারতের থেকে 'মোস্ট ফেভারড নেশন'-এর তকমা ছিনিয়ে নিল সুইৎজারল্যান্ড! তবে কেন?)
আরও পড়ুন: গলফগ্রিনে উদ্ধার কাটা মুণ্ড কাণ্ডে পুলিশের জালে ১, তবে এখনও মেলেনি বাকি দেহ
উল্লেখ্য, সম্প্রতি 'চার দিনে কলকাতা দখলের' হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের এক প্রাক্তন সেনা কর্তা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়ো। এরপরে বিএনপি নেতা রুহুল রিজভিও ভারতের একাংশ দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আবার বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধানও বলেন, 'আমরা চার দিনের মধ্যেই কলকাতা, আগরলতলা ও সেভেন সিস্টার্স দখল করে নিতে পারি।' যার পালটা জবাব দিয়ে বিধানসভায় সরব হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (আরও পড়ুন: আজ আরও নামতে পারে কলকাতার পারদ, শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতা দক্ষিণবঙ্গের ৭ জেলায়)
আরও পড়ুন: ফের হাসপাতালে ভরতি প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবানি, এখন কেমন আছেন তিনি?
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভি ভারতের একাংশ দখলের হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। আবার বাংলাদেশের তিসরাই ইনসাফ পার্টির নেতা মিনাজ প্রধানও বলেন, 'আমরা চার দিনের মধ্যেই কলকাতা, আগরলতলা ও সেভেন সিস্টার্স দখল করে নিতে পারি।' যার পালটা তোপ দেগে বিধানসভায় মমতা বলেছিলেন, 'কেউ কেউ বলছেন, বিহার দখল করবেন, ওড়িশা দখল করবেন...আমি বলি ভাই, ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, সুন্দর থাকবেন। কিন্তু এতটাও হিম্মত আপনার কেন, কারও নেই। যে বাংলা, বিহার, ওড়িশা সব নিয়ে নেবেন, আর আমরা বসে বসে ললিপপ খাব। এটা ভাববার কোনও কারণ নেই। আমরা যথেষ্ট সচেতন নাগরিক।' এই মন্তব্যের পরদিনই বাংলাদেশের বিএনপি নেতা রুহুল রিজভি আবার বলেন, 'আমরা কি আমলকি চুষব?' এই সব মন্তব্য, পালটা মন্তব্যের আবহেই এখন উত্তপ্ত পরিস্থিতি দুই বাংলার মধ্যে।