বাংলাদেশে এখন অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সেখানে বসবাসকারী হিন্দুদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ত্যাগ করার পর অশান্ত হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকার গড়ে উঠলেও শান্তির বাতাবরণ নেই বলেই অভিযোগ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুস শান্তি স্থাপন করতে পারছেন না বলে নানা মহল বলছে। সেখানে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। বাংলাদেশি নাগরিকরা এবং রোহিঙ্গারা খাবার সরবরাহের এজেন্ট হিসাবে কাজ করে এখানে। তাদের অবিলম্বে চিহ্নিত করা প্রয়োজন বলে দাবি করলেন মন্ত্রী।
হায়দরাবাদে এনআইএফটি’র সমাবর্তনে এসে গিরিরাজ সিং বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। এখানেই সংবাদসংস্থা পিটিআই–কে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘অ্যাপ নির্ভর খাবার সংস্থা জোম্যাটো, সুইগি এবং ফ্লিপকার্টের ডেলিভারি বয়রা বাংলাদেশি নাগরিক এবং রোহিঙ্গা। এখন সময় এসেছে তাদের চিহ্নিত করার। আর সেটা করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া উচিত।’ এই মন্তব্যের পরই গোটা দেশে তোলপাড় কাণ্ড শুরু হয়ে গিয়েছে। সরাসরি প্রভাব পড়েছে এই অনলাইন খাবারের ব্যবসায়। কারণ মন্ত্রীর কথায় মানুষ তা বিশ্বাস করছেন। বাংলাদেশও এই খবর জেনে ফুঁসছে।
আরও পড়ুন: একমাসে ২৫০ বিষধর সাপ উদ্ধার শহরে, বন দফতরের তথ্যে আলোড়ন, শীতে কেন বের হচ্ছে?
এই বিস্ফোরক অভিযোগ করার পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বক্তব্যকেও সমর্থন করেছেন। যোগী আদিত্যনাথ যে কোনও ভুল কথা বলেননি সেটা জানিয়েছেন গিরিরাজ। গত বৃহস্পতিবার যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন, বাবরের নির্দেশে অযোধ্যায় এবং সম্ভলে যা ঘটেছিল ৫০০ বছর আগে এখন বাংলাদেশে একইরকম ঘটনা ঘটছে। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের বক্তব্য, ‘আমাদের শত্রুরা প্রতিবেশী দেশে কেমন ধরনের কাজ করছে সেটা দেখুন। মনে রাখুন, কেউ যদি কোনও কিছু ভুলে গিয়ে থাকেন। পাঁচশো বছর আগে বাবর এমনই কাজ করেছিল সম্ভল এবং অযোধ্যায়। আর এখন যা ঘটছে বাংলাদেশে দুটো ঘটনার ডিএনএ এক।’
এছাড়া পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের মধ্যে তুলনা টেনেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। দু’দেশেই একইরকম বিষয় দেখা যাচ্ছে বলে তাঁর মত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কথায়, ‘ভারত থেকে পাকিস্তান ভাগ হয়ে যাওয়ার পর ওখানের হিন্দুরা খতম হয়েছে। আর একই ঘটনা আজ বাংলাদেশে ঘটছে। জিন্নার ডিএনএ রয়েছে পাকিস্তানে। আর সেই জিন্নার ডিএনএ আছে বাংলাদেশেও। সম্ভলেও জিন্নার ডিএনএ দেখা গিয়েছে।’ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এইসব মন্তব্য ভারত–বাংলাদেশ সম্পর্কে আরও খারাপ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।