ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের ক্ষেত্রে বিমার সীমা বৃদ্ধির কথা ভাবছে কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমানে এই বীমার সর্বোচ্চ সীমা ৫ লাখ টাকা। এই নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের আমলা এন নাগারাজু বলেন, 'আমরা ব্যাঙ্ক ডিপোজিটের ওপর ইনস্যুরেন্স কভারেজ বৃদ্ধির বিষয়টি ভাবনাচিন্তা করছি এখন। যখন এই নিয়ে সরকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে, তখন বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে।' উল্লেখ্য, সম্প্রতি নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের উপর ছয় মাসের লেনদেনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে আরবিআই। ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, যাঁদের অ্যাকাউন্টে ৫ লাখ টাকার নীচে আছে, তাঁদের টাকা ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়া হবে। এই আবহে যে সব অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের গচ্ছিত সঞ্চয়ের পরিমাণ ৫ লাখ টাকার বেশি, তাদের মনে সংশয় দেখা দিয়েছে। এরই মাঝে সরকারি আমলার এই মন্তব্য। (আরও পড়ুন: চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছে ইনফোসিস, আদালতে বিস্ফোরক কগনিজ্যান্ট)
আরও পড়ুন: 'টাকা পাঠিয়েছি, ঢুকে যাবে...', রাজ্য সরকারি কর্মীদের অ্যাকাউন্টে বড় গোলমাল!
আরও পড়ুন: পরীক্ষা আধা যেতে না যেতেই প্রশ্নফাঁস নিয়ে ছড়িয়ে পড়ল নানা দাবি, মুখ খুলল বোর্ড
এদিকে ১২২ কোটি টাকা জালিয়াতির জেরে গ্রেফতার হয়েছেন ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার। এই আবহে সম্প্রতি ব্যাঙ্কের ১০০ জনেরও বেশি অ্যাকাউন্ট হোল্ডার গোরেগাঁও পশ্চিমের কেশব গোর হলে সভা করেন। ব্যাঙ্কে গচ্ছিত সঞ্চয় পুনরুদ্ধারের জন্যে এই সভা করেন আমানতকারীরা। উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে এই নিউ ইন্ডিয়া কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্ক চালু হয়েছিল প্রয়াত জর্জ ফার্নন্ডেজের সাহায্যে। এই ব্যাঙ্কের ১ লাখ ৩০ হাজার আমানতকারী আছেন। তাঁদের মধ্যে ৯০ শতাংশেরই গচ্ছিত সঞ্চয়ের পরিমাণ ৫ লাখ টাকার নীচে। এদিকে সম্প্রতি ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার হিতেশ মেহতাকে গ্রেফতার করে আদালতে পেশ করা হয়। অভিযোগ, আমানতকারীদের ১২২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন হিতেশ। ব্যাঙ্কের বর্তমান সিইও দেবর্ষী ঘোষ সম্প্রতি দাদর পুলিশ স্টেশনে হিতেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দয়ের করেছিলেন। এরপরই এই মামলাটি মুম্বই পুলিশের ইকোনমিক অফেন্স উইংয়ের অধীনে চলে যায়। (আরও পড়ুন: কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ থেকে রাম জন্মভূমি ট্রাস্ট গঠনে ভূমিকা ছিল CEC জ্ঞানেশের)
আরও পড়ুন: মলমূত্রে থাকা জীবাণুর মাত্রা বেশি মহাকুম্ভের গঙ্গায়, দাবি কেন্দ্রের রিপোর্টে
আরও পড়ুন: কী কারণে ভারতের নির্বাচনে $২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করত USA? তদন্ত চায় BJP সাংসদ
এহেন পরিস্থিতিতে সম্প্রতি নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক লিমিটেডের ওপরে বিধিনিষেধ চাপায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এই আবহে ১৪ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকেই ব্যাঙ্কের সামনে আতঙ্কিত মানুষের ভিড় জমে গিয়েছিল সাধারণ মানুষের। তৈরি হয়েছে বিশৃঙ্খলা। হাজার হাজার মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলেন ব্যাঙ্কের বাইরে। তবে অভিযোগ, ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও তথ্য তাদের জানানো হয়নি। জানা গিয়েছে, ১৩ ফেব্রুয়ারিতেই আরবিআই-এর তরফ থেকে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল নিউ ইন্ডিয়া কো-অপারেটিভের ওপরে। তা সত্ত্বেও নাকি বৃহস্পতিবার গ্রাহকদের না জানিয়ে ১৩ তারিখ টাকা জমা নিয়েছিল সমবায় ব্যাঙ্কটি। পরে ১৪ ফেব্রুয়ারি গ্রাহকরা জানতে পারে নিউ ইন্ডিয়া কোঅপারেটিভের ব্যাঙ্কিং কার্যকলাপের ওপরে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। এদিকে এর জেরে ব্যাঙ্কের লকারও অপারেট করতে পারেননি গ্রাহকরা।