১০০ কোটি টাকার বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতির সংখ্যা কমেছে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে যেখানে ১.০৫ লাখ কোটি টাকার জালিয়াতি হয়েছিল সেখানে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বড় মাপের জালিয়াতিতে ফেঁসে থাকা অর্থের পরিমাণ ৪১ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ, এর আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২১-২২ সালে আর্ধেকরও কম জালিয়াতির মুখে পড়তে হয় ব্যাঙ্কগুলিকে। সরকারি পরিসংখ্যানেই এ তথ্য জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে যে বেসরকারি এবং সরকারি খাতের ব্যাঙ্কগুলিতে জালিয়াতির ঘটনা ২০২০-২১ সালে ২৬৫ ছিল। ২০২১-২২ সালে তা কমে ১১৮ হয়।
পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলিতে ১০০ কোটি টাকার বেশি আত্মসাতের মামলার সংখ্যা ১৬৭ থেকে কমে ৮০ হয়েছে গত অর্থবর্ষে। এদিকে বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলিতে এই ধরনের মামলা ৯৮ থেকে কমে ৩৮ হয়েছে। পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে জালিয়াতির ঘটনায় জড়িত পরিমাণ ২০২০-২১ সালে ৬৫,৯০০ কোটি টাকা ছিল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তা কমে হয়েছে ২৮ হাজার কোটি টাকা। বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ৩৯,৯০০ কোটি টাকা থেকে কমে ১৩ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।
এই বছরের শুরুর দিকে ২২ হাজার ৮৪২ কোটি টাকার সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্ক জালিয়াতি হয়েছিল স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে। এবিজি শিপইয়ার্ড এবং এর প্রোমোটার এই জালিয়াতির নেপথ্যে ছিল। পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সঙ্গে নীরব মোদী যে ১৪ হাজার কোটি টাকার জালিয়াতি করেছেন, তার থেকে এই পরিমাণ অনেক বেশি। গত মাসে, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) দেওয়ান হাউজিং ফাইন্যান্স লিমিটেডের প্রাক্তন চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ডিরেক্টর ধীরাজ ওয়াধওয়ান এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও ৩৪,৬১৫ কোটি টাকার