শুক্রবারই অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে আর্জি জানান যাতে দেশের অর্থনীতির হাল ফেরাতে ব্যাঙ্কনোটে লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানো হয়। এই নিয়ে জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। তবে মোদী কি পারেন লক্ষ্মী-গণেশের ছবি ছাপানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে? কী বলছে নিয়ম?
1/6ভারতীয় ব্যাঙ্ক নোট এবং কয়েনের জিজাইন নিয়ে কে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে? ব্যাঙ্ক নোট এবং কয়েনের নকশা এবং আকারের পরিবর্তন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এবং কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতীয় নোটের ডিজাইনে যেকোনও পরিবর্তনের জন্য আরবিআই-এর কেন্দ্রীয় বোর্ড এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন। মুদ্রার নকশা পরিবর্তনের এক্তিয়ার আছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
2/6নোট ইস্যুতে আরবিআই কী ভূমিকা পালন করে? কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক অভ্যন্তরীণভাবে একটি নকশা তৈরি করে। এটি আরবিআই-এর কেন্দ্রীয় বোর্ডের সামনে রাখা হয়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট, ১৯৩৪-এর ধারা ২২-এর অধীনে ভারতে ব্যাঙ্ক নোট ইস্যু করার ‘একমাত্র অধিকার’ দেওয়া হয়েছে আরবিআই-কে৷
3/6আরবিআই আইনের ধারা ২৫ বলে যে, ‘ব্যাঙ্ক নোটের নকশা, আকার এবং উপাদান কেমন হতে হবে, তা নিয়ে আরবিআই-এর সেন্ট্রাল বোর্ড সুপারিশগুলি দিয়ে থাকে। সেই সুপারিশ বিবেচনা করার পরে কেন্দ্রীয় সরকার তা অনুমোদন দিতে পারে।
4/6বর্তমানে আরবিআই-এর কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের প্রধান হলেন ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর টি রবি শঙ্কর। মুদ্রা ব্যবস্থাপনার মূল কার্যপদ্ধতি পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে এই বিভাগের হাতেই।
5/6আরবিআই-এর ওয়েবসাইট অনুসারে, ব্যাঙ্কনোটের নকশা করা, নোট এবং কয়েনের জন্য চাহিদা অনুসারে তা ছাপানো, সারা দেশে ব্যাঙ্কনোট এবং মুদ্রার সুষ্ঠু বণ্টন নিশ্চিত করা এবং অচল নোট এবং মুদ্রাকে বাজার থেকে তোলার ক্ষমতা রয়েছে কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের।
6/6যদি একটি মুদ্রার নোটের নকশা পরিবর্তন করতে হয়, তাহলে কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের তরফে নতুন নকশাটি আরবিআই-এর কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে জমা দেয়। এরপর সেটি কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপারিশ করা হয়। এরপর সরকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়।