রাজা তৃতীয় চার্লসের(III) ছবিসহ কাগজী টাকার নকশা প্রকাশ করল ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড। আগামী ২০২৪ সালের মাঝামাঝি সময়ে এর প্রচলন করা হবে।
মে মাসে প্রথম নয়া নোটের বিষয়ে ঘোষণা করে ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। তৃতীয় চার্লসের প্রতিকৃতি দিয়ে বর্তমানে প্রচলিত চারটি পলিমার ব্যাঙ্ক নোট ছাপানো হবে। সেগুলি হল £৫, £১০, £২০ এবং £৫০।
ব্যাঙ্ক নোটের সামনের দিকে রাজার ছবি থাকবে। পলিমার প্লাস্টিকের তৈরি নোটের সিকিউরিটি উইন্ডোতেও একটি স্বচ্ছ ছবি থাকবে। ঠিক যেমন আমাদের নোট আলোয় ধরলে অপর দিকে মহাত্মা গান্ধীর একটি অবয়ব ফুটে ওঠে। আরও পড়ুন: বাংলাদেশে এসেছিলেন রানি এলিজাবেথ, খেয়েছিলেন মুড়ি!
নোটের উল্টো দিকগুলি অপরিবর্তিতই থাকবে। ১০ পাউন্ডের নোটে লেখক জেন অস্টেন। ২০ পাউন্ডের নোটে শিল্পী জেএমডব্লিউ টার্নার। ৫০ ডলারের নোটে কম্পিউটার বিজ্ঞানী অ্যালান টুরিং।
তবে এর মানে কিন্তু এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই যে আগের নোটগুলি বাতিল হয়ে যাবে। রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথের প্রতিকৃতি থাকা নোটগুলি প্রচলনও অব্যাহত থাকবে। জনসাধারণ সেগুলি স্বাভাবিকভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন।
ব্রিটেনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, রাজপরিবারের নির্দেশ ছিল, যেন এই পরিবর্তনের ফলে কোনও পরিবেশগত এবং আর্থিক প্রভাব না পড়ে। সেটি মাথায় রেখেই শুধুমাত্র নতুন নোট ছাপানোর জন্য এবং মুদ্রার চাহিদা মেটাতেই নতুন নকশার টাকা আনা হবে।
অর্থাত্, বাজারে বর্তমানে সার্কুলেশনে থাকা নোটগুলি বাতিলের প্রশ্নই উঠছে না। রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং রাজা চার্লস III, দুই ছবিসহ নোটই একযোগে প্রচলিত থাকবে।
ব্রিটিশ ইতিহাসে এই নিয়ে কিং চার্লসই দ্বিতীয় রাজা হবেন, যাঁর কাগজী মুদ্রায় প্রতিকৃতি ছাপা হচ্ছে। ১৬০০ দশকের শেষের দিকে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড কাগজের টাকা তৈরি শুরু করে। সেই সময় থেকে তৃতীয় চার্লস-সহ মাত্র ২ জন রাজাই তাতে স্থান পেয়েছেন। তবে কয়েনে বরাবরই রাজাদের আধিপত্য ছিল।
শুধু ইংল্যান্ডেই নয়। কানাডায় কিছু ২০ ডলারের ব্যাঙ্ক নোটে, নিউজিল্যান্ডের কয়েনে এবং কমনওয়েলথের বেশ কিছু দেশে আজও রানীর প্রতিকৃতি-সহ মুদ্রা-নোটের প্রচলন রয়েছে।
২০১৬ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে কাগজের নোটের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার বদলে পলিমার নোট আনা হচ্ছে। এগুলি সহজে ছিঁড়ে যায় না বা নষ্ট হয় না। ভিজে গেলেও ভয় কম। আরও পড়ুন: বিলাসিতা বলতে এক কাপ কফি! সপ্তাহ শেষে পকেটে সামান্য টাকাই থাকে অর্ধেক ব্রিটেনবাসীর
গত সেপ্টেম্বরে রানীর প্রয়াণের পর থেকে এটিই ব্রিটেনে অন্যতম বড় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন বলা যেতে পারে। এটি ছাড়াও নতুন মনোগ্রামসহ সরকারি নথি, পোস্টাল স্ট্যাম্প এবং নতুন কয়েনের প্রচলন করা হচ্ছে।