আরজি কর আবহের মধ্যেই ইন্দোরে এক মহিলাকে পাশবিকভাবে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠল। মহিলাকে শুধু ধর্ষণই নয়, তাঁর গোপনাঙ্গে কাচের গ্লাস ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ এক উঠল সেনা জওয়ানের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে সেনা জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার গভীর রাতে ইন্দোরের এবি রোডের একটি হোটেলে। অভিযুক্ত সেনা জওয়ানের নাম সঞ্জয় যাদব। ওই মহিলাকে হোটেলে ডাকার পর পাশবিক অত্যাচার করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
শনিবার মহিলা থানায় গিয়ে এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অভিযুক্ত সঞ্জয় যাদবকে গ্রেফতার করে। মহিলা থানার ইনচার্জ কৌশল্যা চৌহান জানিয়েছেন, এক বছর আগে একটি সেনা ক্যান্টিনে দুজনের মধ্যে দেখা হয়েছিল। শুক্রবার নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করতে ইন্দোরে এসেছিল অভিযুক্ত জওয়ান। সেখানে তারা দুজনেই একটি হোটেলে ছিলেন। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ওই মহিলাকে ব্ল্যাকমেল করে তাঁর কাছ থেকে কিছু টাকাও নিয়েছে। বর্তমানে ওই মহিলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত সঞ্জয় যাদবকে হোটেল থেকেই গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত জওয়ান উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। বর্তমানে অসমে সেনায় নায়েক পদে কর্মরত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, সেই অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নির্যাতিতা একজন ব্যাঙ্ক অধিকারিকের স্ত্রী। ঘটনার পর নির্যাতিতা ঠিকমতো হাঁটতে পারছিলেন না।মহিলা থানার একজন অফিসার বলেন, নির্যাতিতা নিজেকে অভিযুক্তের হাত থেকে বাঁচিয়ে কাঁদতে কাঁদতে থানায় এসেছিলেন। যন্ত্রণায় কাঁদছিলেন। নির্মম অত্যাচারের ফলে মহিলার গোপনাঙ্গ থেকে রক্তক্ষরণ হয়।
নির্যাতিতা পুলিশকে জানিয়েছেন, যে সঞ্জয় তাঁর একটি অশ্লীল ভিডিয়ো তৈরি করেছিল এবং একই ভিডিয়ো ভাইরাল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁকে ক্রমাগত ব্ল্যাকমেল করছিল। তাছাড়া, মহিলার কাছ থেকে ধর্ষণের পর ৪০-৫০ হাজার টাকা দাবি করে অভিযুক্ত জওয়ান। তখন মহিলা এটিএম থেকে টাকা তোলার নাম করে হোটেল থেকে বেরিয়ে সোজা থানায় চলে যান। অভিযুক্ত এর আগেও ১ থেকে দেড় লাখ টাকা নিয়েছে বলে অভিযোগ।