বৃহস্পতিবার কেরল হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছে অভিভাবকদের দায়বন্ধতার কথা তুলে ব্যাঙ্ক কোনও পড়ুয়াকে শিক্ষালোন দিতে অস্বীকার করতে পারে না। এব্যাপারে আবেদনকারী এক মেধাবী ছাত্রকে অবিলম্বে লোন দেওয়ার ব্য়াপারে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নির্দেশ দেওয়ার সময় ব্যাঙ্কের পর্যবেক্ষণ, কোনও আবেদনকারীর পর্যাপ্ত সম্পদ নেই বলে তিনি যেন উচ্চশিক্ষার জন্য তার লোন পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন। প্রসঙ্গত কেরলে আয়ুর্বেদ মেডিসিন ও সার্জারির দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রীর লোনের আবেদনকে সম্প্রতি নাকচ করে দিয়েছিল একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। এরপরই তিনি আদালতে যান। আবেদনকারী আদালতকে জানিয়েছিলেন ন্যাশানাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্টের মাধ্যমে তিনি ভর্তির সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু কোর্সের জন্য প্রয়োজনীয় টাকা তিনি জোগাড় করতে পারছিলেন না।
সেকারণে তিনি ও তাঁর বাবা ৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এডুকেশনাল লোনের আবেদন করেন। কিন্তু নিয়ম অনুসারে এই লোনের জন্য কোনও সিকিউরিটির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু ব্যাঙ্ক লোন দিতে অস্বীকার করে। ওই ছাত্রীর দাবি, ব্যাঙ্ক তাঁদের জানিয়েছিল তাঁর বাবার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি দুর্বল হওয়ার কারণে তাঁকে লোন দেওয়া যায়নি। এদিকে তাঁর বাবার একটি ছোট দোকান রয়েছে। কিন্তু অতিমারি পরিস্থিতিতে সেটাও বন্ধ রয়েছে।
তবে আদালতের দাবি, ব্যাঙ্কের এই ধরনের মনোভাব এডুকেশনাল লোন স্কিমের লক্ষ্যটাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, আরবিআইয়ের গাইডলাইন অনুসারে এডুকেশনাল লোনের লক্ষ্য হল একজন পড়ুয়াও যাতে অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন।