আরব সাগরে ডুবে গেল একটি বার্জ। উদ্ধার করা হয়েছে ১৭৭ জনকে। এখনও খোঁজ মিলছে না অনেকের। সেইসঙ্গে আরও তিনটি বার্জ এখনও মুম্বই উপকূল বরাবর মাঝসমুদ্রে আটকে পড়েছে। সাহায্য এবং উদ্ধারের জন্য ইতিমধ্যে একাধিক কপ্টার, রণতরী নামিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
মঙ্গলবার সকালে নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, সকাল ছ'টা পর্যন্ত পি৩০৫ বার্জ থেকে ১৪৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ১১১ জনকে উদ্ধার করেছে আইএনএস কোচি এবং আইএনএস কলকাতা। অত্যন্ত উত্তাল সমুদ্র থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করেছে গ্রেটশিপ আহিল্যা এবং ১৮ জনকে উদ্ধার করেছে ওএসভি ওসেন এনার্জি। পাশাপাশি মঙ্গলবার সকালেই পি-৮১ লং রেঞ্জ নজরদারি বিমান মোতায়েন করা হয়েছে। কয়েকজনকে ইতিমধ্যে হেলিকপ্টারে করে সুরক্ষিত জায়গায় ফিরিয়ে এনেছে নৌবাহিনী। পরে সকাল ১১ টা নাগাদ নৌবাহিনীর তরফে জানানো হয়, মোট ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
‘তাউটে’-এর সতর্কতার মধ্যে বোম্বে হাই (বর্তমানে মুম্বই হাই নামে পরিচিত, যা তৈল উত্তোলনের ক্ষেত্র) এলাকার হীরা তৈলক্ষেত্র (মুম্বইয়ের দক্ষিণ-পশ্চিমে ৭০ কিলোমিটার দূরে) থেকে গিয়েছিল পি৩০৫ বার্জ। সেইসঙ্গে আরও কয়েকটি বার্জ মাঝসমুদ্রে আটকে আছে। দুর্যোগের মধ্যে কোলাবা পয়েন্টের উত্তরে ৪৮ নটিকাল মাইল দূরে ‘গাল কনস্ট্রাক্টর’ নামে আরও একটি বার্জ আটকে পড়ে। তাতে ১৩৭ জন আছেন। উদ্ধারকাজের জন্য ভেসেল মোতায়েন করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। একটি বিবৃতিতে নৌবাহিনীর মুখপাত্র জানিযেছেন, মাঝসমুদ্রে আটকে পড়া সাগর ভূষণ নামে একটি বার্জকে সাহায্যের জন্য যাচ্ছে আইএনএস তলওয়ার। তাতে ১০১ জন আছে। সেই বার্জের কাছাকাছি এসএস-৩ নামে আরও একটি বার্জ আটকে পড়েছে। তাতে ১৯৬ জন আছেন। সেটির কাছেও পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করছে আইএনএস তলওয়ার। দুটি বার্ই পিপাভাব বন্দরের দক্ষিণ-পূর্বে ৫০ নটিকাল মাইল দূরে আটকে রয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌবাহিনীর মুখপাত্র।