মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের ভাই তথা ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বিধায়ক বসন্ত সোরেনের বিধায়কপদ খারিজ করা নিয়ে নিজেদের মতামত রাজ্যপাল রমেশ বাইসকে জানিয়েছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। জানা গিয়েছে শুক্রবার বসন্তের বিধায়কপদ নিয়ে রিপোর্ট এসে পৌঁছায় রাজভবনে। উল্লেখ্য, বসন্ত এক খনির মালিক। তবে নির্বাচনী হলফনামায় তা তিনি প্রকাশ করেননি। এই প্রেক্ষিতে বিজেপি অভিযোগ করেছিল বসন্তের বিরুদ্ধে। যার প্রেক্ষিতে রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের কাছে বসন্তের বিধায়কপদ নিয়ে পরামর্শ চেয়েছিল। প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধি আইনের ৯ নং ধারা অনুযায়ী, কোনও নির্বাচিত ব্যক্তি এমন কোনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না যেটি কিনা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তবে বসন্ত যে খনির মালিক, তা সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ বলে জানা গিয়েছে। (আরও পড়ুন: ‘অন্তর্বাস কিনতে দিল্লি গিয়েছিলাম’, আজব মন্তব্য হেমন্ত সোরেনের ভাইয়ের)
উল্লেখ্য, ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপাল রমেশ বাইস কয়েকদিন আগে নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন। তাঁর এই সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। রাজ্যের ক্ষমতাসীন জোটের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার পরই দিল্লি যান তিনি। রাজ্যপালের কাছে শাসক শিবিরের বিধায়করা আবেদন করেছিলেন,মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের বিধানসভা সদস্যপদ নিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে গোপন রিপোর্ট পাঠিয়েছে,তা যাতে প্রকাশ করা হয়। এরপরই দিল্লি গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এদিকে কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে এখনও কিছু স্পষ্ট করা হয়নি রাজভবনের তরফে।
সূত্র মারফত দাবি করা হচ্ছে,অফিস অফ প্রফিট ইস্যুতে হেমন্ত সোরেনকে বিধানসভা থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তবে এই রিপোর্ট এখনও প্রকাশ করেননি রাজ্যপাল। এই পরিস্থিতিতে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন চলছে। এই রিপোর্টের সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যপালকে। রাজ্যপাল কী করেন, তার ওপরই পরের ঘটনাক্রম নির্ভর করবে ঝাড়খণ্ডের রাজনৈতিক গতিপ্রকৃতির। তবে কয়েকদিন আগে আস্থা ভোটে জিতে আপাতত স্বস্তিতে জেএমএম সরকার।