ফের নারীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের। নারী অধিকার নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ইমরান খান বকলমে তালিবানি কুসংস্কার ও ধর্মান্ধতাকে সমর্থন করলেন। মুসলিম দেশগুলির সংগঠন ওআইসির মঞ্চে আফগানিস্তান নিয়ে বলতে গিয়ে ইমরান খান বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে সাংস্কৃতিক সংবেদনশীলতার নামে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা কোনও বিষয়ই নয়। তাঁর কথায় তালিবানি আফগানিস্তানে মানবাধিকার নিয়ে আপস করাকে অত বড় করে বা অবাক দৃষ্টিতে দেখা উচিত নয়। তাঁর কথায় তালিবানি শাসনে চলা অত্যাচার ‘ঠিক’ । ওআইসিতে ইমরান খানের ভাষণ টুইট করেন মালালা ইউসুফজাইয়ের বাবা জিয়াউদ্দিন ইউসুফজাই।
ইমরান খান বলেন, ‘আমাদের বুঝতে হবে সব সমাজের মানবাধিকারের সংজ্ঞা আলাদা। সব সমাজের ক্ষেত্রে মানবাধিকার ও মহিলাদের অধিকারের অর্থ আলাদা। পাকিস্তানের আফগান সীমান্তবর্তী পাখতুনওয়া প্রদেশের সংস্কৃতি আফগানিস্তানের সঙ্গে অনেকটা মেলে। কারণ তালিবানি সদস্যরা মূলত পশতুন। এহেন পাখতুনওয়াতে শহরের সংস্কৃতি গ্রামীণ সংস্কৃতি থেকে পুরোপুরি আলাদা। কাবুলের সংস্কৃতি চিরকাল গ্রামীণ এলাকার থেকে আলাদা ছিল। তেমন ভাবে পাকিস্তানের পেশওয়ারের সংস্কৃতিও আফগান সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির থেকে সম্পূর্ণ আলাদা।'
পাক প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে আফগান সীমান্তবর্তী পাখতুনওয়া প্রদেশের উদাহরণ তুলে ধরতে চাই। আমরা মেয়েদের মা-বাবাদের স্টাইপেন্ড দেই যাতে তারা তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠায়। কিন্তু আফগান সীমান্তবর্তী এলাকাতে যদি আমরা সেখানকার সংস্কৃতি নিয়ে সংবেদনশীল না হই, তাহলে স্টাইপেন্ড পেলেও তারা তাদেন সন্তানকে স্কুলে পাঠাবে না। আমরা যদি তাদের সংস্কৃতির প্রতি সংবেদনশীল হই, তাহলে স্টাইপেন্ড ছাড়াই তারা তাদের মেযেদের স্কুলে পাঠাতে রাজি। তাই আমাদের বিভিন্ন এলাকার মানবাধিকার ও মহিলাদের অধিকার নিয়ে সংবেদনশীল হতে হবে। বিষয়টি বুঝতে হবে।’