এই ঘটনার ভিডিয়ো ওই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা হতবাক হয়ে পড়েছেন, যে তাঁর বাথরুমের দেওয়াল বেয়ে কীভাবে ঢুকে যাচ্ছে রক্ত? কিছুতেই তিনি এই প্রশ্নের সঠিক সমাধান করতে পারছিলেন না। তবে, খানিক পরেই আরও একটি ভিডিয়োয় বেরিয়ে এল আসল সত্য।
অনেক সময়, বাথরুমের দেওয়ালে আর্দ্রতাজনিত কারণে সমস্যা দেখা যায়। অনেক সময় যে জিনিস দিয়ে বাথরুমের দেওয়াল তৈরি হয়, সেই সামগ্রীতে সমস্যা থাকে। তারফলে বাথরুমের দেওয়াল বেয়ে জল পড়তে থাকে কখনও, কখনও সিপেজ বা মোল্ডের সমস্যা থাকে। তবে লেক্সি শিডেস্টারের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা অবাক করার মতো। ক্যালিফোর্নিয়ার এই কলেজ কাউন্সেলার তাঁর বাথরুমে একটি অবাক করা কাণ্ড দেখতে পান। বন্ধ অবস্থায় বাথরুমের দেওয়ালে তিনি রক্ত দেখতে পান। যে রক্ত প্রথম দিন দেখেছিলেন তা পরের দিন আরও গাঢ় অবস্থায় দেখতে পান বলে ভিডিয়োয় দাবি করেন। এরপর তিনি নিজেই নেমে যান তদন্তে। একজন কারিগরকে সঙ্গে নিয়ে তিনি মোল্ড টেস্ট কিট সমেত নেমে পড়েন গোটা পরিস্থিতির কারণ খুঁজতে।
পরের ভিডিয়োয় দেখা যায়, লেক্সির বাড়ির বাথরুমে কোনও মৌমাছির চাক নেই। নেই কোনও লিক। নেই কোনও ছিদ্র বা আর্দ্রতার চিহ্ন। তাহলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে পারে যে কীভাবে অমন লাল তরল লেক্সির বাড়ির বাথরুমে প্রবেশ করতে শুরু করল?
শেষে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়ে লেক্সি জানতে পেরেছেন যে, মরচে আর বদ্ধ অবস্থার সংমিশ্রণে এমন লাল তরল বেরিয়ে আসতে পারে। কারণ বাথরুমের দেওয়ালে একটি শোকেস রয়েছে। তবে তার রঙ রক্তের মতো হলেও, তা আসলে রক্ত নয়!