বিবিসির তথ্যচিত্র - ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চেন’ নিয়ে চরম বিতর্ক দেশ, বিদেশে। আজ এই তথ্যচিত্রের দ্বিতীয় পর্ব সম্প্রচারিত হবে। তার আগেই এই তথ্যচিত্র প্রদর্শন নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধল দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। গুজরাট দাঙ্গা ও মোদীকে নিয়ে তৈরি এই তথ্যচিত্র বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দেখানো যাবে না বলে জানিয়ে দিল কর্তৃপক্ষ। সরকারের নির্দেশে ইতিমধ্যেই টুইটার ও অন্য সব সামাজিক মাধ্যম থেকে এই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল জেএনইউ-তে। এই আবহে তথ্যচিত্রটি প্রদর্শন বন্ধ করার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। (আরও পড়ুন: 'গোডসের ওপর সিনেমা নিষিদ্ধ হবে না, কিন্তু বিবিসির তথ্যচিত্র ব্লক হবে', মোদীকে তোপ ওয়াইসির)
এর আগে এসএফআই নেত্রী ঐশী ঘোষ টুইট করে লিখেছিলেন, 'বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নির্বাচিত সরকার তথ্যচিত্র প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। কিন্তু আপনারা আমাদের সঙ্গে যোগ দিন।' ক্যাপশনের নিচে একটি পোস্টারের ছবি পোস্ট করেন। তাতে লেখা আছে, ২৪ জানুয়ারি রাত ৯টার সময় জেএনইউ স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অফিসে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শিত হবে। এরপরই কড়া পদক্ষেপ করে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, 'এটি প্রশাসনের নজরে এসেছে যে JNUSU-এর নামে ছাত্রদের একটি দল টেফ্লাসে ২৪ জানুয়ারি রাত ৯টায় একটি ডকুমেন্টারি 'ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন' প্রদর্শনের জন্য একটি প্যামফলেট বিলি করেছে। এই অনুষ্ঠানের জন্য জেএনইউ প্রশাসনের কাছ থেকে কোনও পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। এটি জোর দিয়ে বলা হচ্ছে যে এই ধরনের অননুমোদিত কার্যকলাপ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের শান্তি ও সম্প্রীতিকে বিঘ্নিত করতে পারে।'
এর আগে সরকারের তরফে বিবিসির এই তথ্যচিত্র নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়েছিল। বিদেশমন্ত্রকে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বিবিসির বিতর্কিত তথ্যচিত্র নিয়ে বলেছিলেন, 'এই তথ্যচিত্রটির পিছনে নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা রয়েছে।' প্রসঙ্গত, ‘ইন্ডিয়া:দ্য মোদী কোয়েশ্চন’-এর দুই পর্বে ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গায় মোদীর 'ভূমিকা' তুলে ধরা হয়েছে। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকও জানিয়েছেন, এই তথ্যচিত্রের মোদীর চরিত্রায়ণের সঙ্গে তিনি একমত নন। অভিযোগ, এই তথ্যচিত্রটিতে প্রধানমন্ত্রী তথা গুজরাটের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'ভুল চরিত্রায়ণ' হয়েছে। তবে বিবিসি জানিয়েছে, এই তথ্যচিত্রে বহু মানুষের প্রতিক্রিয়া নেওয়া হয়েছে। তাতে যেমন প্রত্যক্ষদর্শী ও বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন, তেমনই বিজেপির সদস্যদের প্রতিক্রিয়াও আছে। পরে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের সচিবের তরফে ইউটিউব ও টুইটারে সেই তথ্যচিত্র সংক্রান্ত যাবতীয় ভিডিয়ো সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। এই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সম্বলিত ৫০টিরও বেশি টুইট ব্লক করার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup