আজও জারি ভারতের বিবিসি অফিসে আয়কর বিভাগের সার্ভে। জানা গিয়েছে, বিবিসির কমপক্ষে ১০ জন শীর্ষ আধিকারিক এখনও অফিসেই আছেন। সার্ভে শুরুর থেকেই তারা সেখানে আছেন। জানা গিয়েছে, বিবিসির কর্তাদের মোবাইল এবং ল্যাপটপ স্ক্যান করেছেন আয়কর দফরতরের আধিকারিকরা। তবে এখও এই সার্ভে থেকে কিছু পাওয়া গিয়েছে কিনা, সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য জানায়নি আয়কর দফতর।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বেলার দিকে শুরু হয়েছিল 'সার্ভে'। রাতভর চলে তা। এরপর আজ তৃতীয় দিনও বিবিসির অফিসে রয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এই আবহে গতকালই কর্মচারীদের ইমেল করে তদন্তে সহযোগিতা করতে বলেছে বিবিসি কর্তৃপক্ষ। এদিকে সম্প্রচার বিভাগ ছাড়া বাকি সব কর্মীকেই বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেছে বিবিসি। এক ইমেলে কর্মীদের বিবিসির তরফে বলা হয়েছে, তদন্তকারী কর্তাদের সকল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করুন। বিস্তারিত ভাবে তাদের প্রশ্নের জবাব দিন। আপনার ব্যক্তিগত আয় নিয়ে আপনাকে মুখ খুলতে হবে না। তবে বেতন সংক্রান্ত কোনও প্রশ্ন করা হলে তার জবাব দিন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসি-র দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। অফিসে ঢুকেই বিবিসির সমস্ত সাংবাদিক এবং সংবাদকর্মীদের মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ জমা করতে বলেন আধিকারিকরা। প্রাথমিক ভাবে সার্ভে নিয়ে মুখ না খুললেও পরে একটি টুইটের মাধ্যমে আয়কর দফতরকে সহযোগিতার বার্তা দিয়েছিল বিবিসি। পরে গতকাল গভীর রাতে আরও একটি টুইট করে বিবৃতি জারি করে বিবিসি। ব্রিটিশ সংস্থার তরফে বলা হয়, 'দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বিবিসির অফিসে এখনও রয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। অনেক কর্মী তাদের বাড়িতে চলে গিয়েছেন। অনেক কর্মচারী অফিসেই রয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকদের সাহায্য করার জন্য। এই পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের কর্মচারীদের যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করছি। এদিকে আমাদের সাংবাদিকতা জারি রয়েছে। ভারতে আমাদের দর্শকদের সামনে আমরা খবর পরিবেশন জারি রাখব।'
প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগেই ২০০২ গুজরাট দাঙ্গায় নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকা নিয়ে দুই ভাগে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশ করেছিল বিবিসি। ভারত সরকার সেই তথ্যচিত্রটিকে ইউটিউব এবং টুইটারে ব্লর করেছিল। এই আবহে বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের এই সার্ভে নিয়ে তোলপাড় জাতীয় রাজনীতি। একদিকে যেখানে বিজেপি বিবিসির বিরুদ্ধে 'বিষ ছড়ানোর' অভিযোগ তুলেছে। সেখানে কংগ্রেসের অভিযোগ, দেশে 'অলিখিত জরুরি অবস্থা' চলছে।