করোনাভাইরাস উৎস নিয়ে ও উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচার নিয়ে রিপোর্ট করায় এবার চিনের তোপের মুখে পড়তে হল বিবিসির এক সাংবাদিককে। ওই সাংবাদিককে দেশ ছেড়ে তাইওয়ানে চলে যেতে বলা হয়েছে। বিবিসিকে একথাই জানিয়েছেন ওই সাংবাদিক।জানা গিয়েছে, ওই সাংবাদিকের ওপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। শুধু তাই নয়, তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।
গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই বিবিসির চিনের প্রতিনিধি জন সাডওয়ার্থের উপর মানসিক নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। সম্প্রতি বিবিসি রেডিয়ো ৪–কে দেওয়া সাক্ষাতকারে জন জানান, তিনি ন'বছর ধরে চিনে কাজ করছেন। কিন্তু এখন তাঁর পক্ষে চিনে থেকে কাজ করা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁকে তাইওয়ানে যেতে হল। জনের স্ত্রী ইভোনে মারে তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। জনের স্ত্রীও সাংবাদিকতার পেশার সঙ্গে যুক্ত। সম্প্রতি চিনে উইঘুর মুসলিমদের উপর নানা ধরনের অত্যাচারের ঘটনা সাডওয়ার্থের লেখা থেকে বেরিয়ে এসেছিল, যা নিয়ে চিনা প্রশাসনকে প্রবল অস্বস্তির মধ্যে পড়তে হয়। তাঁর লেখায় চিনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের একাধিক কথা বেরিয়ে এসেছে। চিনা বিদেশ মন্ত্রকের সমালোচনার মুখেও পড়তে হয় তাঁকে।পাশাপাশি দেশীয় সংবাদমাধ্যমও তাঁকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি। পাশাপাশি ব্রিটিশ সাংবাদিকের কলমে করোনার উৎস নিয়ে অনেক বিতর্কিত লেখাও উঠে এসেছে।
জানা গিয়েছে, সাডওয়ার্থের এই তাইওয়ানে চলে যাওয়ার খবর স্বীকার করেছে বিবিসি কর্তৃপক্ষ। বিবিসির তরফে গোটা ঘটনার নিন্দা করে জানানো হয়েছে, আসলে জন সব সত্যিটা বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরছিলেন। চিনা প্রশাসন চায় না, সেই সত্যিটা বিশ্বের মানুষ জানুক। এদিকে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছে চিন। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনইং জানান, কেন ওই সাংবাদিক চলে গেলেন, তারা তা জানেন না। চিনা সরকার এই ঘটনার সঙ্গে আদৌ জড়িত নন। ফরেন করেসপন্ডডেন্ট ক্লাব অফ চিনের পক্ষ থেকেও গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করা হয়। জানানো হয়, এর আগেও অনেক সাংবাদিককে চিন ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে এই হুমকির জন্য।
হুমকির জন্য।