প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে তৈরি করা তথ্যচিত্র নিয়ে বিতর্কের মাঝেই আজকে দেশের একাধিক জায়গায় অবস্থিত বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের বিশাল দল পৌঁছে যায়। এই অভিযানকে 'সার্ভে' বলে আখ্যা দিয়েছেন আয়কর আধিকারিকরা। এই আবহে এবার এই সার্ভে নিয়ে এবার মুখ খুলল বিবিসি কর্তৃপক্ষ। বিবিসি প্রেস নিউজ টিমের তরফ থেকে একটি টুইট করে বলা হয়, 'আয়কর কর্তৃপক্ষ বর্তমানে নয়াদিল্লি এবং মুম্বইতে বিবিসি অফিসে রয়েছে এবং আমরা আধিকারিকদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করছি। আমরা আশা করি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই পরিস্থিতির সমাধান হবে।'
এদিকে আজকের আয়কর 'সার্ভে' চলাকালীনই বিবিসিকে তথ্যচিত্র ইস্যুতে ফের একবার আক্রমণ শানায় গেরুয়া শিবির। বিজেপি নেতা গৌরব ভাটি অভিযোগ করেন, কংগ্রেস এবং বিবিসির নীতি এবং উদ্দেশ্য একই। বিবিসিকে 'ভারত ভক্ষক কর্পোরেশন' নামে আখ্যা দেন তিনি। পাশাপাশি তিনি অভিযোহ করেন, বিবিসি খুব দুর্নীনিগ্রস্ত একটি সংগঠন। গৌরব ভাটিয়া 'সার্ভে'র বিষয়ে বলেন, 'আয়কর দফতরকে তাদের কাজ করতে দেওয়া উচিত।' পাশাপাশি বিবিসির প্রতি হুঁশিয়ারির সুরে গৌরব বলেন, ভারতে কাজ করে ভারতের বিরুদ্ধে বিষ ছড়াতে পারে না বিবিসি। এদিকে এই সার্ভের সমালোচনা করার জন্য কংগ্রেসেরও সমালোচনা করেন বিজেপি নেতা। তিনি মনে করিয়ে দেন, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ইন্দিরা গান্ধী এক সময়ে বিবিসিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আজ সকালেই বিবিসি ডকুমেন্টারির ইস্যুতে এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, 'এই লোকেরা ২০০২ সাল থেকে মোদীজির পিছনে পড়ে রয়েছে।'
বিবিসির অফিসে আয়কর দফতরের দল পৌঁছানোর 'সময়' নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এদিকে কংগ্রেস এই 'সার্ভে' নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। কংগ্রেস বলছে, এই পদক্ষেপেই বোঝা যাচ্ছে দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। কংগ্রেস বলেছে যে আগে বিবিসি ডকুমেন্টারি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল এবং এখন সেখানে অভিযান চালানো হয়েছে। এটি একটি অঘোষিত জরুরি অবস্থা। সরকারকে আক্রমণ করে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছেন, 'বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি' দেখাচ্ছে বিজেপি। জয়রাম রমেশ বলেছিলেন যে এই অভিযানই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে দেশে অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে। তিনি বলেন, একদিকে আমরা আদানির মামলায় যুগ্ম সংসদীয় কমিটির দাবি করছি। অন্যদিকে সরকার শুধু একটি তথ্যচিত্রের জন্য বিবিসি অফিসে অভিযান চালিয়েছে।