লাক্ষাদ্বীপে এবার থেকে বিক্রি হবে মদ। খাওয়া যাবে না গরুর মাংস। মুসলিম অধ্যুষিত লাক্ষাদ্বীপে নয়া এই আইন লাগু নিয়ে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক। গতবছরের ডিসেম্বরে বিজেপি নেতা প্রফুল প্যাটেলকে লক্ষদ্বীপের প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। সেই প্রফুল প্যাটেল এই নয়া নিয়ম চালুর ঘোষণা করেন সম্প্রতি। এর জেরে এবার সরব হয়েছেন কেরল এবং লাক্ষাদ্বীপের রাজনীতিবিদরা।
উল্লেখ্য, লাক্ষাদ্বীপের প্রশাসক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর থেকেই প্রফুল প্যাটেল একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিতে শুরু করেছেন। প্রসঙ্গত, লাক্ষাদ্বীপের জনসংখ্যার ৯০ শতাংশেরও বেশি মানুষ মুসলিম। এই আবহে গরু খাওয়া নিষিদ্ধ এবং মদ বিক্রির এই সিদ্ধান্ত সেখানকার মানুষ ভালো চোখে দেখছেন না। এই সিদ্ধান্তকে মানুষ বিরোধী আখ্যা দেওয়া হয়েছে স্থানীয়দের তরফে। যদিও এই বিষয়ে প্রফুল প্যাটেলের দাবি, গত ৭০ বছরে লাক্ষাদ্বীপের কোনও উন্নয়ন হয়নি। মালদ্বীপ এখান থেকে খুবই কাছে। সেটা আজ বিশ্বের অন্যতম সেরা পর্যটনস্থল। তবে লাক্ষাদ্বীপে কিছুই হয়নি।
এদিকে প্রফুল প্যাটেল আরও অনেকগুলি সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। যার মধ্যে একটি হল গুন্ডা আইন। তবে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অপরাধের হার খুবই কম। তাছাড়া নয়া নিয়মে কোনও অভিভাবকের যদি দুই সন্তানের বেশি থাকে, তাহলে তাদের পঞ্চায়েত ভোটে দাঁড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া জমি অধিগ্রহণ নিয়েও নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সিপিএম-কংগ্রেস একযোগে প্রতিবাদ জানিয়েছে। পিনারাই বিজয়ন বলেন, প্রশাসকের পদক্ষেপ লাক্ষাদ্বীপের সংস্কৃতি এবং মানুষের জীবনযাপনকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। এই ধরনের আইন কখনও মানা যায় না। এছাড়া সুর চড়িয়েছেন কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তাছাড়া লাক্ষাদ্বীপের এনসিপি নেতা তথা সাংসদ মহম্মদ ফয়জল পিপি প্রফুল প্যাটেলের অপসারণ চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছেন। সাংসদের দাবি, প্রশাসক জনপ্রতিধির সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, লাক্ষাদ্বীপের মানুষের জমি কেড়ে নিতে চাইছে সরকার।