আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে (এএমইউ) রবিবারের মধ্যাহ্নভোজে চিকেন বিরিয়ানির পরিবর্তে বিফ বিরিয়ানি দেওয়া হবে বলে একটি নোটিশ শেয়ার করার পরে বিতর্ক দানা বাঁধে।
স্যার শাহ সুলায়মান হলে শিক্ষার্থীদের পাওয়া নোটিশটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা হলে দ্রুত ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়।
দু'জন 'অনুমোদিত' ব্যক্তির জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, 'রবিবারের দুপুরের খাবারের মেনু পরিবর্তন করা হয়েছে এবং চাহিদা অনুযায়ী চিকেন বিরিয়ানির পরিবর্তে বিফ বিরিয়ানি পরিবেশন করা হবে।
এএমইউ প্রশাসনের ব্যাখ্যা
শোরগোলের জবাবে এএমইউ প্রশাসন স্পষ্ট করে জানায় যে এতে 'টাইপিং এরর' রয়েছে অর্থাৎ টাইপ করতে গিয়ে ভুল হয়ে গিয়েছে এবং আশ্বাস দেয় যে নোটিশ জারি করার জন্য দায়ীদের কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'বিষয়টি আমাদের নজরে আনা হয়েছিল। আমরা দেখেছি যে নোটিশটি খাবারের মেনু সম্পর্কিত ছিল। তবে এতে স্পষ্ট টাইপিং ত্রুটি ছিল। নোটিশটিতে আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর না থাকায় এর সত্যতা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে নোটিশটি প্রত্যাহার করা হয়।
তিনি বলেন, 'আমাদের প্রভোস্ট দায়ী দুই সিনিয়র পড়ুয়াকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মকানুন কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি।
'বিফ বিরিয়ানি'র মেনু নিয়ে প্রতিক্রিয়া বিজেপি নেতার
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায়, বিজেপি নেতা তথা আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী নিশিত শর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ঘটনার সমালোচনা করেছেন এবং অভিযোগ করেছেন যে বিশ্ববিদ্যালয় মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে।
প্রশাসনের ভূমিকা লজ্জাজনক। স্যার শাহ সুলাইমান হলে চিকেন বিরিয়ানির পরিবর্তে বিফ বিরিয়ানি পরিবেশন করা হবে বলে একটি নোটিশ প্রচার করা হয়। নোটিশটি প্রকাশ্যে প্রদর্শিত হয়েছিল এবং এটি সিনিয়র ফুড কমিটির সদস্যদের দায়িত্ব ছিল। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বোঝা যায়, প্রশাসন মৌলবাদীদের উৎসাহিত করছে এবং শিক্ষার্থীদের অসদাচরণ ধামাচাপা দিচ্ছে।
পিটিআই ইনপুট সহ