মধ্যপ্রদেশের মান্ডলার আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় সরকারি জমিতে নির্মিত ১১টি বাড়ি ভেঙে দিল রাজ্য সরকার। অভিযোগ ওই বাড়িগুলির ফ্রিজে গরুর মাংস পাওয়া গিয়েছে। রাজ্যের অবৈধ গরু মাংস ব্যবসার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ। মধ্যপ্রদেশের আইন অনুযায়ী গরু জবাই শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
মান্ডলার পুলিশ সুপার রজত সাকলেচা জানিয়েছেন, নাইনপুরের ভৈনওহি এলাকায় গরু জবাইয়ের জন্য আটকে রাখা হয়েছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ করা হয়।
পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছে ১৫০টি গরু আটক অবস্থায় পায়। বাড়িগুলির পিছনে গরুগুলি বাঁধা ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে। অভিযুক্তদের বাড়ির ফ্রিজে গরুর মাংস পাওয়া যায়। এছাড়াও, পশুর চর্বি, চামড়া এবং হাড় একটি ঘরে রাখা ছিল।
আরও পড়ুন। বাংলাদেশের সোনালি ব্যাঙ্ককে প্রায় কোটি টাকা জরিমানা RBI-এর!
স্থানীয় সরকারী পশুচিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন যে উদ্ধারকৃত মাংস গরুর। আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য হায়দ্রাবাদে দ্বিতীয়বার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ১০ জনকে খোঁজ চলছে।
এসপি সাকলেচা বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতে গরু এবং গরুর মাংস উদ্ধারের পর একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং বাকিদের খোঁজ চলছে।’
আরও পড়ুন। 'ভোটের ফল থেকে শিক্ষা নেয়নি মোদী সরকার', ইউএপিএ প্রসঙ্গে কেন্দ্রকে তোপ ওয়াইসির
১৫০টি গরুকে একটি গোশালায় পাঠানো হয়েছে। ভৈনওহি এলাকা বেশ কিছু সময় ধরে গরু চোরাচালানের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। মধ্যপ্রদেশে গরু জবাই করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং এর জন্য সাত বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, অভিযুক্তদের মধ্যে দুইজনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কাজকর্মের ইতিহাস রয়েছে এবং বাকিদের পরিচয় খুঁজে বের করার প্রক্রিয়া চলছে। সমস্ত অভিযুক্ত মুসলিম সম্প্রদায়ের বলে জানানো হয়েছে।